প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৭ ফেব্রুয়ারী : বিশ্ব শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে বেছে নেওয়া হল সংগীতকে । আর সেই সংগীতের সুরমুর্ছনায় সোমবার সন্ধ্যায় মিশর আর পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল বননবগ্রামের বাউল আশ্রমে । সেখানে পরিবেশিত হল ইজিপ্ট, উত্তর আয়ারল্যাণ্ডের ঘূর্ণায়মান দারভিশ নৃত্য আর দুই দেশের লোকসংগীত। যা মুগ্ধ করলো আউশগ্রামের বাসিন্দাদের । করতালিতে ভাসলো অনুষ্ঠান স্থল । অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী ।
আউশগ্রামের বননবগ্রামের ফাউল আশ্রমে এদিন আসেন ইজিপ্টের ‘মউলাইয়া’ শিল্পীরা এবং উত্তর আয়াল্যান্ডের বেলফাস্টের ‘মাডাগন’ লোক সংগীত ব্যান্ড। বিশ্ব শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে তারা সৃষ্টি করেছে এক অসাধারণ সুরের মিশেল । সুর মুর্ছনার মধ্য দিয়েই এদিন ভাবের আদান প্রদান সারলেন আউশগ্রামের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী সাধন দাস বৈরাগ্য ও আর ইজিপ্টের লোকশিল্পী আমের এলটনি । উচ্ছাসে মঞ্চেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন দুই দেশের দুই শিল্পী । এমন এক সুরমুর্ছনা মুগ্ধকরে আউশগ্রামের বাসিন্দাদের । মঞ্চে সংগীতের পাশাপাশি নৃত্যও পরিবেশিত হয় । মিশরীয় সুফি দারভিশ নৃত্য পরিবেশন করেন সেদেশের শিল্পী আমের এলটনি।
মিশরীয় শিল্পীদের কথায় জানা জানা গিয়েছে, গান আর দারভিশ নাচে ইজিপ্টের মউলাইয়া’র শিল্পীরা প্রথম শহর মাতায় ২০১১ সালে। নাচ ও গানের মধ্যে দিয়েও যে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলা যায় সেটারই প্রকাশ ঘটান শিল্পীরা। দারভিশ নৃত্যের ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য ১৯৯৪ সালে আমের এলটনি এই দল গড়ে তোলেন।
ভিন দেশের লোকসঙ্গীত শুনুনু
এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের পক্ষে স্নেহা ভট্টাচার্য বলেন,’যুদ্ধের ভুলে বিশ্ব জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ায় সংগীতই একমাত্র হাতিয়ার৷ তাই দুই দেশের সুরের আদান প্রদান ঘটাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷’ উত্তর আয়ারল্যান্ডের শিল্পী জেশন অরুর্ক বলেন,’কয়েকদিন আগে আমি কলকাতায় এসেছি। সেখানেও সংগীত পরিবেশন করেছি। খুব ভালো লেগেছে ৷ এদি আউশগ্রামে এসে সংগীত পরিবেশন করে খুবই ভালো লাগলো ।’ বাংলা নাটক ডট কমের কর্নাধার অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আউশগ্রামে এমন সংগীতের মিশেল এই প্রথম। বাংলা বাউলের টানে সব দেশের শিল্পীদের ব্যবধান মুছে যাবে ।’।