এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,০৫ ফেব্রুয়ারী : নব্বইয়ের দশকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি জম্মু- কাশ্মীরের হিন্দু কাশ্মীরি পন্ডিতদের নরসংহার চালানোর পর প্রায় ১৫ লাখ হিন্দু প্রাণ ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে আসে । তারপর বহু ফাঁকা জায়গা জবরদখল করেছিল কাশ্মীরি মুসলমানরা । ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত সেই সমস্ত জবরদখল করা জায়গা উদ্ধারের কোনো চেষ্টাই করেনি কোনো সরকার । চলতি বছর থেকে ওই সমস্ত জবরদখল করা জায়গা পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । সরকারি জায়গার উপর নির্মিত অবৈধ নির্মানগুলি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ।
শনিবার শ্রীনগরের ক্রালসাংরি (KralSangri) এলাকায় পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোনের (Sajad Lone)বোনের বাসভবনের সামনে অবৈধভাবে নির্মিত সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন । একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে রাজস্ব বিভাগের শ্রীনগরের একটি দল পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজাদ গণি লোনের বোন অ্যাডভোকেট শবনুম গণি লোনের (Shabnum Ganie Lone) কাছ থেকে খসরা নং ৩৫৫৭ -এর অধীনে রাষ্ট্রীয় জমি/কাচারাই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে সরকারী জায়গা জবরদখলকারী,ফারুক আবদুল্লা,মেহেবুবা মুফতিসহ জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে । তাদের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের নিশানা করা হচ্ছে । যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন,প্রশাসন আবাসিক এবং সাধারণ মানুষের জীবিকা রক্ষা করবে ।গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে শুরু হওয়া জবরদখল বিরোধী অভিযানে সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হবে এমন দাবিকে তিনি “ভুল তথ্য” হিসাবে খারিজ করেছেন ।।