প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ ফেব্রুয়ারি : চাল বাড়ন্ত বলে উনান জ্বলেনি।তাই পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পারুলিয়া শিবতলা এলাকার ১৬৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে থমকে রয়েছে খাবার রান্না। যা নিয়ে রীতিমত হতাশ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের পড়ুয়া ও গর্ভবতী মহিলারা।ঘটনার কথা জেনে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি ।
অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের পড়ুয়াদের অভিবাবক লিপিকা দাস২ সৌমেন দাস বলেন,“চাল না থাকায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে খবার রান্না হচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে। চাল না থাকায় খাবার যে রান্না হবে না সেটা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রেের বাইরে দেওয়ালে লেখা রয়েছে।তবে গর্ভবতী মায়েরা এবং শিশুরা বিকল্প কি পুষ্টিকর খাবার পাবে তার কোন কথা বলা হয় নি।পুষ্টিকর খাবার প্রাপ্তি থেকে শিশু পড়ুয়া ও গর্ভবতী মায়েরা বঞ্চিত হচ্ছে ।’
কেন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের এই দৈনদশা ? এর উত্তরে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের দিদিমণি সুকুমারী সাঁতরা শনিবার বলেন,’আমাদের সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৬৮ থেকে ৭০ জনের রান্না হয়।চাল না থাকার কারণে রান্না বন্ধ রেখেছি। কবে চাল আসবে,কবে ফের রান্না শুরু হবে তার কোন সদুত্তর থিদিমণি দিতে পারেন নি ।’ তিন বলেন,’বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।সুতরাং এটা তারাই বলতে পারবেন ।’
দেখুন ভিডিও
এই ঘটনার বিষয়ে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিডিও সৌমিক বাগচীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নিশ্চয় সরবরাহের কোন গণ্ডগোল হয়েছে। যারা দায়িত্বে আছেন,তাদের উচিত ছিল এই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা। হয়তো তারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের জন্য খাতাপত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ।’ তবে যাই হোক এটা তাদের উদাসীনতা বলেই বিডিও মন্তব্য করেছেন । সব শুনে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ খুব দ্রুত যাতে রান্না চালু হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সহ-সভাধিপতি জানিয়েছেন ।।