এইদিন ওয়েবডেস্ক,মৌলভিবাজার,০৪ ফেব্রুয়ারী : বাংলাদেশে হিন্দু মেয়েদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করা নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । এবারে রাস্তা থেকে এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করে গোপন ঠিকানায় আটকে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিছু কট্টরপন্থী মুসলিম যুবকদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের মৌলভিবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর পাচাউন গ্রামে । নিখোঁজ কিশোরীর নাম পিঙ্কি বৈদ্য (১৭) । এই ঘটনায় মিসবাহ হোসাইন (৩৬), মকবুল হোসাইন(৩৮),শাহ মোহম্মদ আনিস আলি ( ৬৫) ছাড়াও ছায়া বিথি (৬২) নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিখোঁজ কিশোরীর কাকা জিতু মোহন বৈদ্য । অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই মৌলভিবাজার জেলার মির্জাপুর-১ ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল থানা এলাকার বাসিন্দা । কিন্তু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর ৬ দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনো কিশোরীকে উদ্ধারে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,পাচাউন গ্রামের বাসিন্দা পিঙ্কি বৈদ্য স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী । মেধাবী ছাত্রী হিসাবে এলাকায় খুব সুখ্যাতি আছে তার । অপহরণের ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ জানুয়ারী । ওইদিন সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬ টা নাগাদ টিউশন পড়তে যাচ্ছিল পিঙ্কি । সেই সময় মূল অভিযুক্ত মিসবাহ হোসাইন দলবল নিয়ে এসে মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ । এদিকে রাত পর্যন্ত মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে । কিন্তু তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরের দিন সকালে(৩০ জানুয়ারী ২০২৩) শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অপহরণের মামলা রজু করেন কিশোরীর কাকা জিতু মোহন বৈদ্য ।
জিতুবাবু বলেন,’আমার ভাইঝি দশম শ্রেণীর ছাত্রী, খুব বুদ্ধিমতী । ভাইঝিকে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে জানতে পারি মিসবাহ হোসাইন,মকবুল হোসাইন,শাহ মোহম্মদ আনিস আলি এবং ছায়া বিথিরা তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে । এখন ভাইঝিকে তারা কোনো গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছে । আমাদের সন্দেহ ভাইঝিকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে কোনো মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হতে পারে ।’ তাই অবিলম্বে নিখোঁজ ভাইঝিকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তিনি ।
জানা গেছে,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৩০ এবং পেনাল কোডের ৫০৬ ধারায় মামলা রজু করেছে পুলিশ । যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ওই নিখোঁজ কিশোরীর কোনো সন্ধান করতে পারেনি । এদিকে চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে কিশোরীর পরিবার ।।