এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৪ ফেব্রুয়ারী : ঋণ খেলাপি এড়াতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাহায্য ছাড়া বিকল্প রাস্তা নেই পাকিস্থানের কাছে । পাকিস্তান আইএমএফ-এর কাছে বেলআউট প্যাকেজের জন্য আবেদন জানিয়েছিল । কিন্তু আইএমএফ-এর কঠোর শর্ত পাকিস্তানকে গভীর চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে ৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে পাকিস্তানকে অকল্পনীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ।’ তিনি বলেন,’এই সময়ে দেশের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও তার দল যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না ।’
এদিকে আইএমএফের শর্তের কথা শুনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফের বেলআউট প্যাকেজ দেশের একমাত্র সুরাহা নয় , বরঞ্চ সরকারকে আরও সংস্কারের রাস্তায় হাঁটতে হবে ।’ কিন্তু এরপরে পাকিস্থান সরকার যদি সংস্কারের রাস্তায় হাঁটে তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।
এদিকে মঙ্গলবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল পাকিস্তানে এসে পৌঁছেছে । পাকিস্থানকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে তারা আলাপ আলোচনা শুরু করেছে । দলটি পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ও তার দলের সঙ্গে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলোচনা করবে বলে জানা গেছে । এদিকে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি লাগাতার বাড়ছে । ডলারের বিপরীতে ঐতিহাসিক নিম্নে নেমে এসেছে পাকিস্থানি রুপি । এরই মাঝে পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারীরা দাম ১৬ শতাংশ এবং রান্নার গ্যাসের দাম ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে । পাকিস্তানের সরকারী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.০৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে । যা দিয়ে মাত্র ১৭ দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করতে পারবে পাকিস্তান সরকার ।
শাহবাজ শরীফ বলেন, আইএমএফের বেলআউট প্যাকেজ গ্রহণ করা ছাড়া দেশের সামনে আর কোনো বিকল্প উপায় নেই । যদি আইএমএফের ঋণ গ্রহণ না করি তবে আমরা ডিফল্টার হয়ে যাবো ।’ উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে আমারা অকল্পনীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছি । আইএমএফের শর্ত পূরণ করাও আমাদের কল্পনার বাইরে ।’।