এইদিন ওয়েবডেস্ক, রুডকি (উত্তরাখণ্ড), ০৪ জানুয়ারী :১০২ বছরের বৃদ্ধা বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত শারিরীক সমস্যায় ভুগছিলেন । পরিণতির কথা ভেবে সকলেই এক প্রকার মনে মনে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন । শেষ মুহুর্তে বিছানায় শুয়ে শুয়েই প্রিয় চাট (মুখোরোচক খাবার) খেতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধা । কিন্তু খাবার আনার আগেই বৃদ্ধা সেই যে চোখ বন্ধ করেন তারপর বহু ঠেলাঠেলি করেও তাঁকে আর জাগানো যায়নি । চিকিৎসককে ডেকে আনা হয় ততক্ষনাৎ । শেষে চিকিৎসক হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন বৃদ্ধা আর জীবিত নেই । একথা শুনে কান্নার রোল ওঠে বাড়িতে । ছুটে আসে আত্মীয় স্বজনরা ৷ শুরু হয় দেহ সৎকারের তৎপরতা । দীর্ঘ প্রায় ৭ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর তারই মাঝে চোখ মেলে চেয়ে দেখেন ওই বৃদ্ধা । উঠে বসেন, খেতে চান প্রিয় চাট । শোকের পরিবেশ মুহুর্তের মধ্যে আনন্দে বদলে যায় । চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রুডকি জেলার ম্যাঙ্গালোর অঞ্চলের খুরদ গ্রামে ।
বৃদ্ধার ছেলে বিনোদ বলেন, আমার মায়ের বয়স ১০২ বছর । গোটা গ্রামের মধ্যে আমার মা সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি । কিন্তু কিছুদিন যাবৎ মায়ের শরীর ভালো যাচ্ছিল না । মা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে ডাকেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন । এই খবর জানার পর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া । খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী সবাই বাড়িতে চলে আসেন । শেষকৃত্যের প্রস্তুতিও নেওয়া হয় । কিন্তু মায়ের দেহ তুলতে গেলে তিনি দু’চোখ মেলে তাকান, উঠে বসেন । চাট খেতে চান । মায়ের মুখে একথা শুনে আমরা খুব অবাক হয়ে যাই । জানা গেছে, বৃদ্ধার ইচ্ছা মত গুরুকুল থেকে চাট এনে খাওয়ানো হয় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,বার্ধক্য জনিত কিছু সমস্যা থাকলেও আপাতত ওই বৃদ্ধা সুস্থই রয়েছেন।।