প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ ফেব্রুয়ারী : ভারতীয় দলের হয়ে বিদেশের মাটিতে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সূযোগ পেল এক বঙ্গতনয়া । তাঁর নাম সোনালি সোরেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধাত্রীগ্রামে বাধাগাছি গ্রামে বাড়ি এই আদিবাসী কন্যার। অনূর্ধ্ব ২০ ভারতীয় দলের হয়ে সাফ ফুটবল চাম্পিয়নশিপে খেলার জন্য বিমানে বাংলাদেশে পাড়ি দেবার কথা সোনালি বুধবার ফোন করে তাঁর মাকে জানায়। দেশের হয়ে মেয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে জেনে উচ্ছশিত পরিবার পরিজন। গ্রামের সবাইও খুশির জোয়ার ভাসছেন। সোনালির বাবা হরি সোরেন বলেন, মেয়েকে সেভাবে সাহায্য করতে পারি না। মেয়ের এই সাফল্যের জন্য আমরা ওর কোচের কাছে কৃতজ্ঞ ।
ধাত্রীগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালি।নিম্নবিত্ত পরিবারের এই কন্যার বাবা হরি সোরেন চাষবাস করে কোনও রকমে সংসার চালান। মা শেফালিদেবী তাঁর স্বামীকে চাষের কাজে সাহাায়তা করেন। হরিবাবুর দুই মেয়ের মধ্যে সোনালি বড় ।পরিবার সদস্যদের কথায় জানাগেল , খুব ছোট বয়স থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি সোনালির আগ্রহ তৈরি হয়। পরিবারের কেউ তাতে বাধা দিতেন না।পরবর্তি সনয়ে সোনালি আটঘড়িয়া, কেশবপুর ও কালনার স্টেডিয়ামের সবুজ মাঠে নিয়মিত প্র্যাক্টিস চালিয় যায়। দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে সে বাংলার ফুটবল দলের হয়ে খেলার সুযোগও পায়।তাঁর খেলা দেখে বিদেশিরাও প্রশংসা না করে পারেন নি। মাস দুয়েক আগে ভারতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য যে ট্রায়ালে হয় তাতে সোনালি ডাক পায় । কিন্তু সেফার সে সফল হতে পারেননি। তবুও সোনালি হতাশ হননি ।
কোচ রঘুনাথ মুর্মু ও মুকুল দেবনাথের কাছে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যায় সোনালি। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। অদম্য জেদ আর কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গিয়ে সোনালি শেষপর্যন্ত সাফল্য লাভকরে।বাংলাদেশের ঢাকায় এবার হচ্ছে অনূর্ধ্ব ২০ মহিলা সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ও ভুটান ছাড়াও নেপাল, বাংলাদেশ তাতে অংশ নিচ্ছে।৩ ফেব্রুয়ারি হবে ভুটানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ।কালনাবাসীরা প্রত্যাশা, বাংলাদেশের ফুটবল মাঠে ভালো খেলে সোনালি দেশকে সাফল্য এনে দেবে ।।