দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০১ ফেব্রুয়ারী : নিজের বাড়ির মধ্যে সুনীল রায়(৫০) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পুলিশ । পুলিশ মঙ্গলবার সকালে কাটোয়ার বিকিহাটে বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করেছিল । নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা দাবি করেছিল সুনীলবাবুকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে । পুলিশ নিহতের স্ত্রী রমা রায় ও মেয়ে সুমিত্রা ওরফে মাম্পি বিশ্বাসকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে । পরে মৃতের দাদা কুমুদরঞ্জন রায়ের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয় । আজ বুধবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ । বিচারক ৪ দিনের জন্য পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন ।
কাটোয়ার বিকেহাটের হনুমান লাঠিতলা এলাকায় বাড়ি নিহত সুনীল রায়ের ৷ বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী রমাদেবী ও ছেলে সত্যজিৎ । যদিও সত্যজিৎ কর্মসূত্রে কলকাতাতেই থাকেন । মাঝে মধ্যে বাড়ি আসেন । সুনীলবাবুর মেয়ে মাম্পি পাশাপাশি পৃথক বাড়িতে স্বামী পতিতপাবন বিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করতেন । নিজের অল্পসল্প জমিতে চাষবাসের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন সুনীলবাবু । মঙ্গলবার সকালে নিজের শোবার ঘরের খাটের উপরে সুনীলবাবুর নগ্ন নিথর দেহটি পড়েছিল । নিহতের মেয়ে ও স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা গিয়ে সুনীলবাবুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান । কিন্তু নিহতের মেয়ে ও স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনই কাটোয়া থানায় খবর দেয় ।
মৃতের দাদা কুমুদরঞ্জনবাবুর পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন,সম্পত্তি নিয়ে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও জামাইয়ের সঙ্গে । ওই চারজন মিলে তাঁর ভাইকে মারধর করত । ঠিকমত খেতে দিত না ।’ তাঁর সন্দেহ সম্পত্তির লোভেই তাঁর ভাইকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে । যদিও নিহতের ধৃত স্ত্রী ও মেয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে । যদিও মঙ্গলবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত না হওয়ায় এদিন দেহটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।।