এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৭ জানুয়ারী : প্রায়ই দোকানে কোল্ড ড্রিঙ্কস কিনতে যেত ১৪ বছরের এক কিশোরী । কিন্তু তার উপর যে ৪৮ বছরের দোকানদারের কুনজর পড়েছে সেটা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি মেয়েটি । একদিন কিশোরীকে মোবাইল চুরির অপবাদ দেয় দোকানদার । এতে ভয় পেয়ে যায় মেয়েটি । আর এই সুযোগে তাকে একদিন নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে পানীয়ের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে দিয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করে দোকানদার । সেই অশ্লীল ভিডিও নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে রেখে কিশোরীকে ব্লাকমেল করে মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণ করতে থাকে সে । এদিকে লাগাতার ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায় । শেষে ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকার নন্দ নগরীতে । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম মোকাররম আলী ।
নবভারত টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে,গত বছর ১৮ ডিসেম্বর মেয়েটির পেটে ব্যথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় । তখন জানা যায় যে মেয়েটি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । প্রথমে মেয়েটি জানিয়েছিল তার গর্ভস্থ সন্তানের বাবা সালমান নামের তার এক বন্ধু । কিন্তু ওই নামের কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ । তখন মেয়েটিকে চেপে ধরতেই মোকাররম আলীর কুকীর্তির কথা সে ফাঁস করে দেয় । মেয়েটি জানায় মোকাররমের হুমকির ভয়েই সে আসল ঘটনার কথা বলতে সাহস পাচ্ছিল না ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,নির্যাতিতা কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে সে প্রায়ই মোকাররম আলীর দোকানে কোল্ড ড্রিঙ্কস নিতে যেত। একদিন সে মোকাররমের দোকানে গেলে সে তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ তোলে । এতে সে ভীষণ ভয় পেয়ে যায় । এরপর একদিন তাকে নন্দ নগরীতে নিয়ে যায় মোকাররম । সেখানে গিয়ে চায়ে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে পান করতে দেওয়া হয়েছিল তাকে । ফলে চা পান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ঘুমিয়ে পড়ে । আর তখন মোকাররম তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখে । পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে সে ব্ল্যাকমেইল করে ক্রমাগত যৌন নিগ্রহ করে আসছিল বলে অভিযোগ কিশোরীর । গত ২৫ জানুয়ারি মোকাররমকে গ্রেফতার করে করকারডুমা আদালতে পেশ করা হয় বলে জানা গেছে ।।