এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,২৭ জানুয়ারী : ওদের বাবা-মা পেশায় শ্রমজীবী । সকাল হতেই বাবা-মা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিত্যান্ত অবহেলার মধ্যে সারাটা দিন কাটিয়ে দেয় ওরা । স্কুল তো দূরের কথা পরিবারের অভাবের কারণে ঠিকমত জোটে না দু’বেলার খাবার । তাই ওই সমস্ত দুঃস্থ শিশুগুলির জন্য কয়েকজন সমাজসেবী মিলে গড়ে তুলেছেন “আমার পাঠশালা” । বর্ধমানের নবাবহাট সংলগ্ন তালপুকুর আদিবাসী পল্লী এলাকার শিশুরা সেখানে এসে নিখরচায় পড়াশোনা করে । উৎসবের দিনে পাঠশালার কাকুরা কিনে দেয় নতুন পোশাক । থাকে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন । সেই কারনে “আমার পাঠশালা” হল ওই সমস্ত দুঃস্থ শিশুগুলির কাছে বাড়ির থেকেও প্রিয় । শৈশবের যাবতীয় আবদার মেটানোর জায়গা ।
আর কচিকাঁচাগুলির মনের কথা বুঝতে পেরে বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা এবং প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করেছিলেন “আমার পাঠশালা”র উদ্যোক্তরা । বিশেষ ওই দিনটিতে “আমার পাঠশালা” প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল “পুষ্টির দিশা” কর্মসূচী l পাঠশালার ৫৯ জন দুঃস্থ ও ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হল আপেল, কলা, খেজুর, কুল, মিহিদানা ইত্যাদি । এত রকম পুষ্টিকর খাবার পেয়ে স্বভাবতই উল্লসিত দেখা গেল শিশুগুলোকে ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন “আমার পাঠশালা”-র সম্পাদক সন্দীপ পাঠক, সহসম্পাদক আজমত আলী সেখ, অতনু ঘোষ এবং সেখ টিঙ্কু । শিশুদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে এবং পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই “পুষ্টির দিশা” কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় বলে জানান “আমার পাঠশালা”-র কর্ণধার ও সম্পাদক সন্দীপ পাঠক । তাঁদের এই প্রকার মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা ।।