প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ জানুয়ারি :সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনকে নিয়ে গোটা ভারতবাসীর উৎসাহ তুঙ্গে। নতুন বছরের শুরু থেকে বাংলাতেও চালু হয়েছে বন্দে ভারত। প্ররতিদিন হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত ছুটছে অত্যাধুনিক এই ট্রেন। বঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক তৈরি হয় শুরুর দিন থেকেই।সেই ট্রেনই কিনা থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোড স্টেশনে। আর তা নিয়ে আট থেকে আশি এলাকার সকলেই উন্মাদনায় ফুঁসছে।
মেমারি ১ ব্লকের দলুইবাজার ২ পঞ্চায়েতের পাল্লারোডবাসীর একেবারে হাতের নাগালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। এ যেন ‘পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা’ মতো । বুধবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই
উৎসাহী মানুষের উচ্ছ্বাস চরমে ওঠে। আসপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষজনও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন দেখতে পাল্লারোড পৌছে যান।সেখানে পৌছে
একেবারে সামনা সামনি দাঁড়িয়ে তাঁদের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন দেখার সাধ পূরণ হয় ঠিকিই তবে ট্রেন ট্রেন দেখে তাঁরা স্তম্ভিতও হয়ে যান ।
এর কারণটাও যথেষ্ট অবাক করার মতোই । আসলে মানুষজন যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন দেখলেন সেটি হল থিমের সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ। পাল্লা বেলতলা ইয়ং স্টার ক্লাব তাদের ৩৮-তম বর্ষের সরস্বতী পুজোর আকর্ষণ বাড়িয়ে দর্শক টানতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন কেই বেছে নিয়েছে।যার নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী অমিত কুমার মহান্ত। তাঁরই ভাবনায় তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপেরপ্লাটফর্মে বৃহস্পতিবার ধুমধাম করে হবে দেবী সরস্বতীর আরাধনা।
পাল্লা বেলতলা ইয়ং স্টার ক্লাবের পক্ষে নন্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন,“বন্দে ভারত ট্রেন কে নিয়ে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা রয়েছে।অন্য জায়গার বাসিন্দাদের মতো পাল্লারোডের বাসিন্দাদেরও খুব ইচ্ছে ট্রেনটিকে কাছ থেকে একবার দেখার। কিন্তু বন্দে ভারত তো পাল্লারোড স্টেশনে দাঁড়ায় না।তাই পাল্লারোড এলাকার বাসিন্দাদের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন
কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা পূরণ করতেই সরস্বতী পুজোর থিম হিসাবে বন্দে ভারত কেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এমন থিম ভাবনাই দর্শনার্থীদের
আকর্ষণ করছে । সরস্বতী পুজোর দিন মণ্ডপে
দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আশাবাই ক্লাব সদস্যরা ।।