প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ জানুয়ারি : শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নিতি ও স্বজন পোষনের ঘটনায় এবার নাম জড়ালো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের।এই ঘটনায় অভিযযোগের অঙুল উঠেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালেরই উপাচার্য্য নিমাইচন্দ্র সাহার দিকে।নিজের দুই ঘনিষ্টকে উপাচার্য্য জুলজি ও বোটানি বিভাগের শিক্ষক হিসাবে নিযোগ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । আর তা জানতে পেরেই বিশ্ববিদ্যালের অনুরাগী হিসাবে দু’জন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এবং একজন চাকরিপ্রার্থী রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে চিঠি লিখে ঘটনা সবিস্তার জানিয়েছেন। যদিও উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন,’সম্পূর্ণ ভুল ধারণা থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন ,আমার কোনও ঘনিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পায়নি। এ সবই একটা চক্রান্ত।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি জুলজি ও বোটানি বিভাগে সহকারী-অধ্যাপক পদে নিয়োগ করা হয়েছে।বোটানি শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থী, বর্ধমানের রাজ কলেজের শিক্ষক সোমনাথ দাস আচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন,’২০২২ সালের তফশিলিদের জন্যে সংরক্ষিত একটি পদে নিয়োগের জন্য গত ৪ জানুয়ারি সল্টলেকের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে ইন্টারভিউ হয়।’ তাঁর অভিযোগ,ওই পদে যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে,সেই ব্যক্তি উপাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠজন’ বলে তিনি জানতে পেরেছেন। নিয়োগ হওয়া ওই প্রার্থীর পিএইচডি-নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি সুবিচার না পেলে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন ।
তবে শুধু সোমনাথ সাহাই নয়,বিকাশ সাঁই ও আসরাফুল মিদ্যা নামে দুই ব্যক্তিও এই নিয়োগ নিয়ে পৃথকভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ ,, বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি-ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মী থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ,সবেতেই ‘স্বজনপোষণ’ করা হয়েছে। এই দুই অভিযোগ কারীর দাবি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত চাকরি-দুর্নীতির মাথায় উপাচার্য রয়েছেন । এছাড়াও শাসক দলের জনপ্রতিনিধি, কর্মচারী ইউনিয়নের কয়েকজন নেতার ‘যোগসাজসে’ ধাকি এই দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ চলছে।
তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’যা শোনা যাচ্ছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।“ বামপন্থী সংগঠন ‘বর্ধমান ইউনিভার্সিটি টিচার্স ইউনিয়ন’ (বুটা)-র প্রাক্তন সম্পাদক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এ ধরণের অভিযোগ ওঠা ঠিক নয় ।’।