এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৩ জানুয়ারী : দেশের আদালতগুলিতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সুপ্রীম কোর্টের মধ্যে দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে । রবিবার আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, বিচারকের কণ্ঠস্বর…এটাই হল ভারতীয় গণতন্ত্রের আসল সৌন্দর্য হল এবং সাফলতা । জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের শাসন করে।নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আইন প্রণয়ন করে। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং আমাদের সংবিধান সর্বোচ্চ ।’
আসলে দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরএস সোধির সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন আইনমন্ত্রী রিজিজু । সেখানে আরএস সোধিকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাদের সংবিধান যখন প্রণীত হয়েছিল, তখন বিচারক নিয়োগ নিয়ে একটা ব্যবস্থা ছিল, একটা পুরো অধ্যায় ছিল, যারা এই ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক বলে শুধু তারাই সংবিধান সংশোধনের কথা বলতে পারে। সংসদ এই সংশোধনী করবে কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানকে হাইজ্যাক করেছে এবং তাদের বলেছে যে আমরা নিজেরাই নিজেদের নিয়োগ দেব এবং এতে সরকারের কোনো হাত থাকবে না ।’
বিচারপতি আরও বলেন, “হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আসে না। হাইকোর্ট প্রতিটি রাজ্যের একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান এবং বিচারক হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের দ্বারা নিযুক্ত হয় । পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নিজেদের নিয়োগ করেন । এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের বিচারক যারা নিজেদেরকে রাষ্ট্রে স্বাধীন মনে করেন তারা সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকায় । সুপ্রিম কোর্ট যাকে খুশি বদলি করে এবং এই ধরনের বদলির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ হয়ে যায়, যা আমাদের সংবিধান কখনোই বলেনি । এখন হাইকোর্টের সব বিচারক তাদের পিছনে লেজ নাড়ছেন । সুপ্রিম কোর্ট, এটা কি ভালো জিনিস ?’
আরএস সোধি বলেন,’আমাদের বোঝা উচিত আইন প্রণয়নে সংসদ সুপ্রিম নাকি সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম ? আমার মতে, সুপ্রিম কোর্ট আইন প্রণয়ন করতে পারে না এবং তার কোনো অধিকার নেই। যদি সুপ্রিম কোর্ট তা করে,তাহলে সংসদের প্রয়োজন নেই ।বিচারক নিয়োগ নিয়ে সংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে । দুজনেই একে অপরকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করছে ।’ তিনি আরও জানান, এটা সবসময় মনে রাখা দরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়,তাই এটা সর্বোচ্চ হতে পারে না ।।