এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২২ জানুয়ারী : মৌলবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তান-বাংলাদেশে ধর্মনিন্দার নামে হিন্দুদের আইনের জালে ফাঁসানোর ঘটনা আকছার ঘটে । এবার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উৎপীড়নের জন্য নতুন বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইনের সংশোধন আইন পাশ করেছে পাকিস্তান । মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ধ্বনি ভোটে ফৌজদারি আইন (সংশোধনী) আইন ২০২৩ পাশ হয়ে গেছে । ওই আইন অনুযায়ী ইসলামের ধর্মীয় প্রতীক অবমাননাকারীদের ন্যূনতম শাস্তি তিন বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে । এদিকে পাকিস্তানের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইনের সংশোধন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । তাদের আশঙ্কা, এই আইনের ফলে পাকিস্তানের হিন্দু সহ অনান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর উৎপীড়নের মাত্রা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে ।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের (এইচআরসিপি) চেয়ারপার্সন হিনা জিলানি শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে ব্লাসফেমি আইনে শাস্তি বৃদ্ধির কারনে সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন বহু গুণ বাড়াবে । এই আইনে ব্লাসফেমি অপরাধটিকে অ-জামিনযোগ্য করে তোলা হয়েছে, যার ফলে সংবিধানের নবম ধারা অনুযায়ী ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার যে গ্যারান্টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘিত হবে । তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের এই ধরনের আইনের অপব্যবহারের দুর্বল ট্র্যাক রেকর্ড আছে । এরপর এই আইনের সংশোধনীগুলি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে । যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এফআইআর, হয়রানি এবং নৃশংসতা আরও বাড়বে ।’
উল্লেখ্য,ব্লাসফেমি আইনকে কঠোর করা হলেও হিন্দু সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারের কিশোরী ও মেয়েদের অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করানো রোধ করতে কোনো আইনই নেই পাকিস্তানে । দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগই দেখা যায় না পাকিস্তানের মৌলবাদী শাসকদের মধ্যে ।।