এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম,০৩ মার্চ ঃ তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার আনখোনা গ্রামে । সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আনখোনা গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে একপ্রস্থ সংঘর্ষ হয় । তার জেরে বুধবার সকালে ফের আনখোনা বাসস্ট্যান্ডে সংঘর্ষ বেধে যায় । উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ।এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব ।
কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ সাহনাওয়াজের অভিযোগ, ‘বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামে অনুব্রত মণ্ডলের জনসভা রয়েছে । তাই আমাদের দলের কর্মীরা কর্মীরা ফ্লাগ ফেষ্টুন লাগাচ্ছিলেন । সেই সময় বিজেপির লোকজন ছাদ থেকে আমাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে ইঁট পাটকেল ছোড়ে । আমাদের কয়েকজন কর্মীর মাথা ফেটে যায় ।’
অন্যদিকে কেতুগ্রামের বিধায়কের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির বর্ধমান পূর্ব সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ । তাঁর পাল্টা অভিযোগ,’মঙ্গলবার রাতে আনখোনা গ্রামে আমাদের দলীয় কর্মী রুনা লায়লার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা । ওই দিন রাতেই আমরা এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি । কিন্তু এদিন ফের তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী বিনা প্ররোচনায় আমাদের কর্মীর উপর চড়াও হয়ে মারধর করে ।’
পাশাপাশি কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘তৃণমূল বুঝতে পেরেছে কেতুগ্রাম বিধানসভায় তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই । কেতুগ্রামের মানুষ তাদের থেকে সরে গেছে । তাই বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা কেস দিয়ে অথবা ভয় দেখিয়ে দমানোর চেষ্টা করছে । কিন্তু এভাবে বিজেপি কর্মীদের দমানো যাবে না । ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কেতুগ্রামে নিশ্চিত বিজেপি জয়লাভ করবে । এটা তৃণমূল বুঝতে পেরেছে বলেই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তারা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ।’
জানা গেছে,বুধবার তৃণমূলের কর্মী নজমুল হক এনিয়ে কেতুগ্রাম থানায় বিজেপির কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।