এইদিন ওয়েবডেস্ক,জয়পুর,১৮ জানুয়ারী : কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে ১২ বছরের কিশোরীকে অপহরণের পর একটি ঘরে আটকে রেখে টানা ৫ দিন ধরে পাশবিক অত্যাচার চালালো ৭ দুষ্কৃতী । মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,নির্যাতিতার বাড়ি রাজস্থানের রাজসমন্দের এলাকায় । গত ৪ জানুয়ারী থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী । খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির কোনো সন্ধান করতে না পেরে পরের দিন অর্থাৎ ৫ জানুয়ারী রাজসমন্দের কেলওয়াদা থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন পরিবারের লোকজন । কিন্তু পুলিশও মেয়েটির কোনো সন্ধান করতে পারেনি । এরপর ১০ জানুয়ারী কিশোরীকে উদয়পুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদভ্রান্তের মত ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় । মেয়েটিকে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা সে খুলে বলে।
জানা গেছে,মেয়েটি জানিয়েছে যে গত ৪ জানুয়ারি পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার জন্য সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল । পথে একজন অটো চালক তাকে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তাকে অটোতে তোলে । এরপর ওই অটো চালক তাকে প্রতারণা করে একটি ধর্মশালায় নিয়ে যায় । ২ দিন ধরে সেখানে আটকে রেখে অটোচালক ও তার সঙ্গীরা মিলে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে । দু’দিন পর সে কোনো রকমে ধর্মশালা থেকে বেরিয়ে আসে, তখন আরও কিছু লোকের সাথে তার দেখা হয় । তারা মেয়েটিকে তাদের সাথে মাবলি নামে একটি জায়গায় নিয়ে যায়। এখানেও মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয় । মাওলিতে তাকে একদিন আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলে জানায় মেয়েটি । নির্যাতিতা জানিয়েছে,মাবলি থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উদয়পুরে। এই সময় অভিযুক্তরা তাকে উদয়পুর এবং উদিয়াপোলের মধ্যে বেশ কয়েকবার নিয়ে যায় । ওই স্থানের পাশেই রয়েছে উদয়পুর বাস স্টপ এবং একটি পুলিশ চৌকি । ১০ জানুয়ারি সে কোনো ভাবে ধর্ষকদের খপ্পর থেকে বেড়িয়ে এসে উদয়পুর বাসস্টপে পালিয়ে আসে ।
জানা গেছে,ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মঙ্গলবার মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অভিযুক্তদের মধ্যে রোডওয়েজ বাসের চালক ও কন্ডাক্টরও রয়েছে। তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে দুষ্কৃতীদের নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ ।
প্রসঙ্গত,ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনায় দেশের মধ্যে শীর্ষে রাজস্থান । যদিও রাজস্থান পুলিশ প্রধান উমেশ মিশ্রের দাবি,গত বছর রাজ্যে নথিভুক্ত ধর্ষণের ৪১ শতাংশ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনার ৪৭ শতাংশ মামলা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে । যদিও তাঁর এই দাবিকে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাজস্থান পুলিশের ‘নির্লজ্জ প্রয়াস’ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।।