এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৬ জানুয়ারী : প্রতিবেশী মুসলিম তরুনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হিন্দু যুবকের । দীর্ঘদিন প্রেম পর্ব চলার পর ওই প্রেমিক যুগল বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন । কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের ধর্ম পরিচয় । শেষ পর্যন্ত প্রেমের টানে ধর্ম পরিবর্তন করতে রাজি হয়ে যান ওই যুবক । রীতিমতো ধুমধাম করে যুবকের ধর্মান্তরিত পর্ব সম্পন্ন হয় গ্রামে । কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় যুবকের রোগগ্রস্থ মায়ের মৃত্যু হলে মৃতদেহ সৎকারে পাশে পেলেন না হিন্দু প্রতিবেশীদের । শেষে সোমবার সকালে যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মায়ের মৃতদেহ সৎকার করতে শ্মশানে নিয়ে যায় । ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বামশোর গ্রামের ।
জানা গেছে,ওই যুবকের নাম সাগর সাহা । ভাতার থানার বামশোর গ্রামের বাসিন্দা বিনয়কৃষ্ণ সাহা ও সরস্বতী সাহা নামে এক হিন্দু দম্পতির একমাত্র ছেলে তিনি । গ্রামেরই এক মুসলিম যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাগর সাহার । বছর দুয়েক আগে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম রীতি মেনে ওই যুবতীকে বিবাহ করেন তিনি । কিন্তু বিয়ের পর থেকে গ্রামের হিন্দুরা তাঁকে কার্যত একঘরে করে রেখে দেয় বলে অভিযোগ । যদিও মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম হওয়ায় তাঁকে সেভাবে সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সাগর সাহার মা সরস্বতীদেবী দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন । রবিবার সন্ধ্যা ৮.৪০ নাগাদ বাড়িতেই মারা যান তিনি । কিন্তু হিন্দু প্রতিবেশীরা সৎকারে এগিয়ে না আসায় রাতভর বাড়িতেই রাখা ছিল মৃতদেহ । এদিন যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্থানীয় মুসলিমরা মৃতদেহ সৎকারে এগিয়ে আসে । হিন্দু রীতি মেনে মায়ের মুখাগ্নি করেন যুবক । তারপর শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ কাটোয়া মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় ।শুধুমাত্র খুদে রজক নামে এক হিন্দু বন্ধু ওই যুবকের মায়ের শবযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বলে জানা গেছে ।।