এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০২ মার্চ : ‘গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য আমরা বড় কর্মসূচি শুরু করতে চলেছি । উত্তরপ্রদেশে কেউ গো-হত্যা করতে পারবে না । আমরা ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর উত্তরপ্রদেশে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গরু পাচার ও বেআইনি কসাইখানা বন্ধ হয়ে গেছে । আপনারা এরাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে দেখুন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেআইনি কসাইখানা বন্ধ হয়ে যাবে । আর ২৪ ঘন্টার মধ্যে গরু পাচারও বন্ধ হয়ে যাবে । তখন গরু পাচারকারীরা বুঝতে পারবে গরুপাচার করা,বেআইনি কসাইখানা চালানো অথবা অরাজকতা সৃষ্টি করলে কি ভয়ঙ্কর পরিণাম হতে পারে ।’ মঙ্গলবার মালদার গাজোলে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এইভাবেই হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ।
হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের শাসক ও অনান্য বিরোধী দলগুলিকে এক হাত নেন যোগী আদিত্যনাথ । তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘রাজ্যের কিছু মানুষ রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গকে তোষনের বলি চড়াচ্ছেন’ । এরপর রাজ্য সরকারকে আক্রমন করে তিনি বলেন, ‘এখানকার সরকার মহরমের শোভাযাত্রার অনুমতি দেয় কিন্তু দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের জন্য অনুমতি দেয় না ।
আজ আদালতকে বলতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে যদি দূর্গাপূজো হয় তাহলে বাংলায় কেন সম্ভব নয় ?’ যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘একমাত্র বাংলাতেই জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে দেওয়া হয় না। কেন রোখা হচ্ছে রাম নাম স্লোগান ?’ রাম বিরোধীদের বাংলায় কোনও স্থান নেই।’
কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি রাজ্যে লাগু করা হয় না বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘এক দেশ এক রেশন ব্যাবস্থার সুবিধা সেভাবে পায়নি বাংলার মানুষ । এছাড়া বাংলায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি কার্যকর করতে দেওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রীজী কৃষাণ সম্মান নিধির অনুদানের টাকা সোজা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু এখানে মমতা দিদি সেটা করতে দেয়নি ।’ তিনি বলেন, ‘আগে ভারতের সব যুবক-যুবতী কাজ করতে বাংলায় আসতেন। এখন সেই বাংলা অনেক পিছিয়ে চলে গেছে । এখানকার যুবকরা রোজগারের জন্য উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে যায়। এটা লজ্জার ।’
এরপর যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘পশ্চিবঙ্গে লাভ জিহাদের ঘটনা হচ্ছে। আমরা উত্তরপ্রদেশে এই নিয়ে আইন এনেছি। লাভ জিহাদের পরিণাম খুব বাজে হয়। এখানকার সরকার তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না । এই সরকার অপরাধীদের সুবিধা দেয় । পুলিশ এফআইআর নেয় না। থানা গুলি তৃনমূলের অফিস হয়ে গেছে ।’ এদিন সিএএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিএএ নিয়ে বাংলায় হিংসা কেন হয়েছে? এখানকরা সরকার অনুপ্রবেশকারীদের বাইরে পাঠাতে চায় না। কেন্দ্র এটা করেই ছাড়বে ।’
মঙ্গলবার ‘পরিবর্তন যাত্রা’ উপলক্ষে মালদা জেলার গাজোল কলেজ ময়দানে এক নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি । ওই জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব । এদিনের জনসভায় জনসমাগম দেখে যোগী আদিত্যনাথ বলেন,’এক মাসের মধ্যেই বাংলার পরিবর্তন বাস্তবে দেখা যাবে । আজকের এই জনসমাগমই তার প্রমান দিচ্ছে ।’।