এইদিন ওয়েবডেস্ক,দত্তপুকুর(উত্তর ২৪ পরগনা),১৪ জানুয়ারী : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষের মন জয়ের উদ্দেশ্যে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ চালু করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । এলাকার মানুষ কি কি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত আছে তা নথিভূক্ত করার জন্য বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে একটি করে দল গঠন করা হয়েছে । ওই সমস্ত কর্মীদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদির দূত’ । কিন্তু অনুন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে সেই ‘দিদির দূত’দের হাতেই যে আক্রান্ত হতে হবে তা হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকার বাসিন্দা সাগর বিশ্বাস ।
তিনি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে কাছে পেয়ে কিছু দাবি দাওয়া জানাতে গিয়েছিলেন । আর তখনই দিদির দূত’ রূপী তৃণমূল কর্মী শিবম রায় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে সপাটে চড় কষিয়ে দেন । এই ঘটনাটি আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা চালায় বাকি তৃণমূল কর্মীরা । এমনকি তারা সাগর বিশ্বাসের মুখ চেপে ধরে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে । কিন্তু ততক্ষণে সকল দৃশ্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্দি হয়ে যায় । এদিকে দলের এক কর্মীর এই প্রকার নিন্দনীয় কীর্তিতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান মন্ত্রী মশাই । শেষে তিনি আক্রান্ত যুবকের পিঠ চাপড়ে দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেন । এদিকে ইতিমধ্যে তখন রাজ্য জুড়ে ঢি ঢি পড়ে যায় । তৃণমূল কর্মীদের এই প্রকার মানসিকতায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।
জানা গেছে,শনিবার সকালে সাইবনার একটি প্রাচীন মন্দিরের চাতালে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ । সেই সময় স্থানীয় গ্রামবাসীরা এসে এলাকার অনুন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেয় । ফলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় শাসকদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা । তারই মাঝে সাগর বিশ্বাস মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ । ‘দিদির দূত’ রূপী তৃণমূল কর্মী শিবম রায় এসে সপাটে চড় কষিয়ে দেন । তারপর বাকি তৃণমূল কর্মীরা সাগরবাবুকে ধাক্কা দিয়ে সীমানার বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । সাগরবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাঁর মুখ চেপে ধরা হয় ।
পরে সাগর বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন,’আমি এলাকার রাস্তাঘাট, মন্দিরের উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রীর কাছে যাচ্ছিলাম । কিন্তু আমাকে চড় মারা হল । কেন চড় মারা হল জানিনা । মানুষ যদি অভাব অভিযোগের নাই জানাতে পারবে তাহলে এই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন কেন করা হয়েছে ?’