এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০১ মার্চ : পুরনো একটি মামলায় বেশ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ । অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সহ সভাপতি অনিল দত্তর । বাকিরা জামিন পেলেও অনিলবাবু জামিন পাননি । শেষ পর্যন্ত সোমবার তিনি কাটোয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন । কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের তিন দিনের মাথায় কাটোয়ায় বিজেপি নেতার হাজতবাসের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । অভিযুক্তের আইনজীবী জয়ন্ত দে বলেন, ‘আমার মক্কেল রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার । আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানাবো।’
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই কেতুগ্রাম-১ বিডিও অফিসে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসুচী ঘিরে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় । দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পাশাপাশি বোমাবাজিও চলে । ঘটনার পরের দিন কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় তৃণমূল নেতা মুশা শেখ কেতুগ্রাম থানায় বিজেপি নেতা দেবব্রত মণ্ডল সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মারধর, আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো, বোমাবাজি করার অভিযোগ দায়ের করেন৷। তার অভিযোগ ছিল ঘটনার দিন মুশা, তার বন্ধু বিকাশ দাস যখন কাঁদরায় বিডিও অফিসে আসছিলেন তখন তাঁদের আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় । এছাড়া স্থানীয় এক পথচারী মহিলাকে আটকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিন ।
জানা গেছে, মুশা শেখের দায়ের করা মামলায় ওই ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ।অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল অনিল দত্তর । পুলিশের খাতায় এতদিন ফেরার ছিলেন তিনি । শেষে এদিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন । যদিও তাঁর জামিন মঞ্জুর করেননি বিচারক ।
অনিল দত্ত বলেন,’২০১৯ সালের ওই দিনে রাজ্য ব্যাপী বিভিন্ন ব্লকে আমাদের দলের ডেপুটেশন কর্মসূচি চলেছিল । কেতুগ্রাম –১ বিডিও অফিসে কর্মসূচির সময় তৃণমূল কংগ্রেসের দুস্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় । আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহতও হন । তবে ওদিন আমি কেতুগ্রামে ছিলাম না । শাসকদল ও পুলিশ চক্রান্ত করে আমায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে ।’।