প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ জানুয়ারি : করোনার চতুর্থ ডোজ কি জরুরী? এই প্রশ্ন এখন চারিদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে।এমনই এক সময়ে পর পর মৃত্যু হল ভিনরাজ্যে থেকে বাড়ি ফিরে আসা এই রাজ্যের দুই শ্রমিক ভাইয়ের।মৃতরা হলেন খোকন মাঝি(৫০) ও সুকুমার মাঝি(৪৬)। আরো দু’জনও অসুস্থ শরীর নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।শোকের আবহের মধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের কংসারীপুর গ্রামে ।দুই ভইয়ের মৃত্যুর কারণ কি তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পরিবারের সদস্যরাও । এমন খবর পেয়ে একটি মেডিকেল টিম মঙ্গলবার গ্রামে পৌছায় । অসুস্থ দু’জনকেই সথানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুই ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ কারণ জানারও চেষ্টা চালাচ্ছেনন স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন ।
বিএমওএইচ নৌমান শেখ যদিও বলেন,’আমরা জানতে পেরেছি ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া কয়েকজন পেটব্যাথা,বমি, পায়খানা নিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফেরে।তার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। এদিন অসুস্থ দু’জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ওষুধও দেওয়া হয়েছে।দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খাবারে বিষক্রিয়াজনিত কারণে এই ঘটনা ঘটেছে ।’
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর কংসারীপুর গ্রামের ১৪ জন শ্রমিক ১৯ শে ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার কাজে যায়।কিছুদিন যেতে না যেতেই সেখানে অধিকাংশ জনেরই পেটব্যাথা,বমি ও পায়খানার উপসর্গ দেখা দেয় । তারা সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।ওই অসুস্থ শ্রমিকদের সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । খাদ্যজনিত সমস্যার কারণেই তারা অসুস্থ হয়েছেন বলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানায় । সেখানে ।চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হতেই তারা কংসারীপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে ।কিন্তু হলে কি হবে,
বাড়ি ফিরে আসলেও শারীরিক অসুস্থতার উপসর্গগুলি তাদের কারুরই কমে নি।এরই মধ্যেই গত রবিবার সকালে সুকুমার মাঝি নামের এক শ্রমিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।সেইদিনই তাকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।অপর শ্রমিক খোকন মাঝির শারীরিক অবস্থাও সোমফার একই ভাবে খারাপ হয়। ওইদিন রাতে তাকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনি মারা যান।স্বাভাবিক কারণেই এমনই এক ঘটনায় কংসারীপুর গ্রামে আতঙ্ক তৈরী হয়। এই খবর পেয়েই স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রামীন হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল টিম গ্রামে পৌছে অসুস্থ দুই শ্রমিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন।।