এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাঁথি(পূর্ব মেদিনীপুর),০৭ জানুয়ারী : তৃণমূলের এত বদ অভ্যাস যে পায়খানাও খেয়ে ফেলেছে’- দূর্নীতি ইস্যুতে এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসকদলকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শনিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগাঠনিক জেলার চন্ডীপুর বিধানসভায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি । ভিড়ে ঠাসা এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
এদিনের বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সরকারকে কার্যত তুলোধুনো করেন রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা । শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে ৭০ লক্ষ শৌচালয় করে দিয়েছিলেন । কিন্তু তৃণমূলের এত বদ অভ্যাস যে পায়খানাও খেয়ে ফেলেছে । কোথাও শৌচালয় খুঁজে পাবেন না । শুধু শৌচালয় নয়,প্রস্রাব খানাও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস । এই চোরেদের তাড়াতে হবে ।’ আবাস যোজনা প্রকল্পে দূর্নীতি নিয়ে শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,’আবাস যোজনার লিস্টে গরীবদের নাম নেই । তৃণমূল নিয়ে নিয়েছে । আগামী সপ্তাহে ১৫ টা কেন্দ্রীয় টিম এরাজ্যে আসছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অযোগ্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ছাড়বো ।’
রাজ্যের মহিলাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন,’৫০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডার সমাধান নয় মায়েরা । আপনার ছেলের কি হবে? আপনার মেয়ের কি হবে? পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই । ৫৮ হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে । ফাইভ পাস অঙ্কের টিচার । অঙ্কিতার বোন সেভেন পাস,তাকে শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে । প্রতিদিন শয়ে শয়ে চাকরি যাচ্ছে । এখনো পর্যন্ত ৪০০০ এর বেশি চাকরি চলে গেছে । ২৮ টাকার মেহুলের মদের বোতল আর ভাইপোর ডিয়ার লটারি এটাই কি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান আর ভবিষ্যৎ ? তাই মায়েরা জোট বাঁধুন,মদ বিরোধী আন্দোলন করুন । আর ভাইপোর লটারির বিরুদ্ধে ঝাঁটা ধরুন । বাড়ির লোকারা সব টাকা নষ্ট করে দিচ্ছে ভাইপোর লটারি কেটে । আর প্রাইজ জিতছে কে? নলহাটির রাজেন্দ্র সিংহের ভাই পাপু সিং । জোড়া সাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তার স্ত্রী আর সকন্যা কেষ্ট মণ্ডলরা । তাই জাগুন আপনারা ।’
সব শেষে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দুর অভয়বার্তা,’ভয় পাবেন না মামলাকে, ভয় পাবেন না হামলাকে ।জোট বাধুন তৈরি হন । আর অবাধ ও গনতান্ত্রিকভাবে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব । ডু অর ডাই । এবারে প্রতিরোধ হবে । আর যদি ভোট দিতে না দেয়,তোমারও নেই আমারও নেই,ব্যালট বাক্স ধরবো আর পুকুরে ফেলবো । মস্তানদের ভয় পাবেন না । কেষ্ট মণ্ডল কি বলতো? গুড়বাতাসা, চড়াম চড়াম, উন্নয়ন থমকে আছে ? দেখুন কি অবস্থা । দরজাটা একটু ফাঁক হয়েছে । তারপরে শালিকা,তারপরে রুচিরা,তারপরে ভাইপো,তারপর লিপস এন্ড বাউন্সের ডাইরেক্টর । গোটাটাই চোর । তাই চোরেদের তাড়াতে হবে ।’।