জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৬ জানুয়ারী : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২ জানুয়ারী কলকাতার নজরুল মঞ্চের দলীয় বৈঠক থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ নামক দু’টি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও বৃহত্তর রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের ভূমিকার গুরুত্ব মাথায় রেখে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পুরসভার উপপৌরপ্রধান বেলি বেগম, শহর সহ সভাপতি কানু সোরেন, মহিলা সভাপতি নন্দিতা গাঙ্গুলী ও শহর যুব তৃণমূল সভাপতি কার্তিক পাঁজাকে পাশে বসিয়ে গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবব্রত শ্যাম গুসকরা শহরের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন । উপস্থিত ছিলেন শহর সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ সুজাউদ্দিন, আইএনটিটিউসি সভাপতি অরুণ সাউ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌম্যদীপ চ্যাটার্জ্জী সহ সমস্ত কাউন্সিলার ও প্রতিটি ওয়ার্ডের দলীয় পদাধিকারী এবং শহর কমিটির সমস্ত সদস্যরা ।
সাংবাদিক সম্মেলনে শহর সভাপতি ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। একইসঙ্গে ‘দিদির দূত’-দের ভূমিকা কি হবে তারও ব্যাখ্যা করেন। শুধু তাই নয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,’এই রাজ্যে চালু হওয়া মমতা ব্যানার্জ্জীর মস্তিষ্ক প্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, মানবিক পেনশন, জয় বাংলা, বিধবা ভাতা, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, খাদ্য সাথী, সবুজ সাথী সহ সমস্ত সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্যই এই প্রকল্প । সঙ্গে সঙ্গে জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের অভাব অভিযোগও শোনা হবে ।’ তিনি মনে করেন গুসকরা শহরের ভাল কাজ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভাল ফলের পেছনে অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।।