দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জানুয়ারী : টোটোয় চড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত অবস্থায় নিচে পড়ে যান এক গৃহবধূ । মুখে মারাত্মক আঘাত পান তিনি । আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে বধূর থুতনি কেটে গিয়ে কার্যত ঝুলে যায় । বুধবার বিকেলে দূর্ঘটনার পর মঙ্গলকোটের পিণ্ডিরা গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা মাঝি নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই গৃহবধূকে তরিঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তারপর রাতের দিকে বধূর মুখে ‘ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জারি’ করেন হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ডঃ তাপস সরকার ও ডঃ ভাস্করজ্যোতি বর্মন । দীর্ঘক্ষণ অপারেশনের পর দুই চিকিৎসক বধূর থুতনি জোড়া লাগিয়ে তাঁর প্রাণ বাঁচান ।
জানা গেছে,ঝুমা মাঝি কাটোয়া শহরে কাজ করেন । রোজবতিনি বাড়ি থেকে কাটোয়া শহরে যাতায়াত করেন । প্রতিদিনের মত বুধবার বিকেলেও কাজ শেষে তিনি বাসে চড়ে বেলগ্রাম বাসস্ট্যণ্ডে এসে নামেন । তারপর সেখান থেকে একটি টোটোয় চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন ঝুমাদেবী । কিন্তু টোটো কিছু যেতেই চলন্ত অবস্থায় আচমকা তিনি নিচে মুখ থুবড়ে পড়েন । রাস্তায় এতটাই জোরে ধাক্কা লেগেছিল যে ঝুমাদেবীর নিচের দাঁতের পাটি কেটে ঝুলে যায় । স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে তাঁকে তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসেন । তৎক্ষনাৎ তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয় ।
চিকিৎসক তাপস সরকার বলেন,ওই মহিলার নিচের দিকের চোয়াল একেবারে ঝুলে গিয়েছিল । রক্তক্ষরণও হয়েছিল প্রচুর । এই পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন না করলে বিপদ হতে পারতো । আমরা অপারেশন করে তাঁর থুতনি জোড়া লাগিয়ে দিয়েছি । বর্তমানে ওই মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল ।’
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা: শেখ সৌভিক আলম বলেন,এই ধরনের অপারেশন খুবই জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ । আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসকরা যেভাবে সফল অস্ত্রোপচার করে মহিলার প্রাণ বাঁচিয়েছে তা সত্যই প্রশংসার যোগ্য ।’।