প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ জানুয়ারি : ইটভাটা মালিকের সঙ্গে বিবাদ চলাকালীন রিভলবার বের করে গুলি ছড়ার অভিযোগ উঠলো কয়লা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে । ইটভাটা মালিক সেখ মশিয়ার আলমের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গলসি থানার পুলিশ কয়লা ব্যবসায়ী সেখ নাজমুল হুদা ওরফে সাহেবকে গ্রেপ্তার করেছে । তাঁর বাড়ি গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে। ধৃতের কাছে থাকা রিভালবার ও তিন রাউণ্ড কার্তুজ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে । বিচারক ধৃতকে জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গলসির
উচ্চগ্রাম মোড় এলাকায়। সেখানেই রয়েছে ইটভাটা ।ওই ইটভাটার মালিক হলেন সেখ মশিয়ার আলম
।ইটভাটায় কয়লা সরবরাহের পাওনা গণ্ডা নিয়ে
রাতে উচ্চগ্রাম মোড়ে সেখ নাজমুল হুদার সঙ্গে অশান্তি বাঁধে ইটভাটা মালিকের।অভিযোগ,
বাকবিতণ্ডা চরমে উঠলে হঠাৎই নিজের কাছে থাকা রিভালবার বের করে সেখ নাজমুল হুদা শূন্যে গুলি ছোড়া শুরু করেন। গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে এলাকায় থাকা লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে দেয় । এই খবর পেয়েই গলসি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় । পুলিশ রিভালবারসহ নাজমুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ।
পরে ইটভাটা মালিক সেখ মশিয়ার আলম থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কয়লা ব্যবসায়ী
সেখ নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি পুলিশ ওই রিভালবারটি ও তিন রাউণ্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে যে রিভালবার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল সেটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভালবার । প্রকাশ্য জায়গায় বাকবিতন্ডা চলার সময়ে হঠাৎ করে গুলি ছোড়ার পিছনে কি উদ্দেশ্য ছিল নাজমুলের তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে ।।