এইদিন ওয়েবডেস্ক,বালুরঘাট(দক্ষিণ দিনাজপুর),০৩ জানুয়ারী : লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে জেলাশাসকের অফিসের সামনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি । ওই সভায় শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
সভায় বক্তব্য রাখার সময় অনুপ্রবেশকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’যারা কাঁটা তারের বেড়া ডিঙিয়ে আসছেন,গরু পাচার করার জন্য আসছেন, ফেনসিডিল পাচার করার জন্য আসছেন, লাভ জিহাদের জন্য আসছেন, ধর্মান্তরিত করার জন্য আসছেন,তাদের জন্য দরকার ডবল ইঞ্জিন সরকার । রাষ্ট্রবাদী সরকার ছাড়া এই বর্ডারের জেলাগুলো মানবে না । ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ হচ্ছে । গুজরাটের নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন সিএএ শুধু পড়ার জন্য করিনি,সিএএ কার্যকর হবে ।’ এরপর তিনি বলেন,’তবে আমার ব্যক্তিগত মত, এনআরসি চাই । লাভ জিহাদের জন্য আইন চাই । ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে আইন চাই । এটা দেবভূমি ভারতভূমি, সনাতনের মাটি । এটা হিন্দুদের একমাত্র আশ্রয়স্থল । এই দেশ যদি দুর্বল হয়,বিজেপি যদি দুর্বল হয়,প্রধানমন্ত্রী যদি দুর্বল হয় তাহলে আমাদের দেশ আর একটা আফগানিস্তান হতে বেশি সময় লাগবে না । আর একটা ইউক্রেন হতে বেশি সময় লাগবে না । তাই জোট বাধুন ।’
এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেন । শুভেন্দু বলেন,’৪৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক সৃষ্টি করেছেন আমাদের পিসিমা । আজ সিলেবাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম পড়তে হয় । সিলেবাসে মনীষীদের নাম পাবেন না । চোরেদের নাম আছে সিলেবাসে । আর এলাকায় ঘুরলে দুটো জিনিস দেখতে পাবেন-একটা টেবিল,একটা চেয়ার আর সঙ্গে ডিয়ার লটারি নিয়ে বসে আছে তরুন প্রজন্ম । ২৮ টাকার মদের বোতল আর ভাইপোর ডিয়ার লটারি হল পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ ।’
আবাস যোজনার দূর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে ৪০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে । কোথায় বাড়ি? সব লুট করেছে তোলামুলরা । যারা আগে আবাস যোজনার অনুদান পেয়েছে তারেই ফের নতুন করে বাড়ি দিচ্ছে চোর তৃণমূলরাই ।’ পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে ‘দেউলিয়া সরকার’ বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,’সিপিএম ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋন করেছে আর তোলামুল সরকার ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋন করেছে । জন্মালেই ২০০০ টাকা ঋণ । পশ্চিমবঙ্গ ধ্বংস ।’
সেই সঙ্গে রাজ্যে সরকারী কর্মীদের বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ত্রিপুরার মানিক সাহা তিন দিন আগে ১২ শতাংশ ডিএ দিল । ওড়িশার নবীন পট্টানায়েক ৩৮ শতাংশ ডিএ দিল । আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ডিএ বাকি নেই । বিজেপি না এলে ডিএ পাবেন না । একে তাড়াতে হবে । স্যাটে জিতেছেন,সিঙ্গেল বেঞ্চে জিতেছে, ডিভিশন বেঞ্চে জিতেছেন,সুপ্রীম কোর্টেও আপনারা জিতবেন আশা করি ।’
মালদায় বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’বন্দে ভারতে যারা পাথর ছোড়ে পঞ্চায়েতে ব্যালট পেপারে ভালো করে স্ট্যাম্পটা পদ্মফুলে লাগিয়ে বলে দেবেন দেশ বিরোধী শক্তি, জিহাদি শক্তির স্থান দিনাজপুরে নেই ।’ সেই সঙ্গে তিনি শুনিয়ে দেন,’এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে উত্তরপ্রদেশে যোগিজী,আসামে হিমন্ত বিশ্বশর্মা যা করছেন আমরাও তাই করবো । বাংলায় শিল্প, রাজনীতি প্রভাব মুক্ত পঞ্চায়েত,জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার কাজ আমরা করবো ।’।