এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজিয়াবাদ,০২ জানুয়ারী : উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার ভোজপুর থানার কালচিনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপাল সিংয়ের ১৭ বছরের পুত্র রকিকে খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতরা হল কালচিনা গ্রামের বাসিন্দা নুর মহম্মদের ছেলে খালিদ (২২) ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসীনের স্ত্রী জৈনম(৩৫) । ধৃত খালিদ পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে যে তার প্রেমিকার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই সে রকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে । পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলায় আইপিসি ৩৬৩,৩০২,১২০-বি এবং ২০১ ধারায় মামলা রজু করেছে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,রকি পেশায় সাব মারর্সিলের মেকানিক ছিলেন । নিজের বাড়ির সামনেই ছিল তাঁর দোকান । অন্যদিকে রকির দোকানের পাশেই রয়েছে জৈনামের মুদিখানা দোকান । জৈনামের স্বামী ইয়াসীন পেশায় চিত্রশিল্পী । কর্মসূত্রে তিনি দিল্লিতে থাকেন । বাড়িতে খুব কমই আসেন তিনি । সেই সুযোগে রকির সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জৈনাম । পাশাপাশি খালিদের সঙ্গেও পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা । কিন্তু রকির সঙ্গে জৈনামের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি খালিদ । শেষে রকিকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য খালিদকে পরামর্শ দেয় তার প্রেমিকা ।
জানা গেছে,প্রেমিকার কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর মাঠের জমিতে ফসলে জল দেওয়ার অছিলায় রকিকে নিজের বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যায় খালিদ । তারপর বাইকে তেল ফুরিয়ে যাওয়ার নাম করে একটি ফাঁকা জায়গায় বাইকটিকে দাঁড় করায় । সেখানেই সে রকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মৃতদেহটি জমিতে ফেলে দেয় । কিশোরকে খুন করার পর সে তার প্রেমিকাকে খবরটি ফোনে জানিয়েও দেয় ।
জানা গেছে,এদিকে রকি বাড়ি না ফেরায় গত ৩০ ডিসেম্বর ভোজপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন তার বাবা কৃষ্ণপাল সিং । অভিযোগে তিনি ছেলেকে খুনের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন । খালিদের বাইকের নম্বরটিও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ প্রথমে আইপিসির ৩৬৩ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে কিশোরের সন্ধান চালাতে শুরু করে । শেষে মাঠে আখ ক্ষেত থেকে ওই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হলে গত ৩১ ডিসেম্বর খালিদ ও জৈনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশের জেরায় ধৃত খালিদ নিজের অপরাধের কথা কবুলও করেছে বলে জানিয়েছেন এসিপি সুনীল কুমার সিং । ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় । আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে কিশোরের পরিবার ।।