এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,০১ জানুয়ারী ২০২৩ : দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে চিনা শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটক (TikTok) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত । এবার ভারতের দেখানো রাস্তাতে হাঁটলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । জাতীয় নিরাপত্তার কারনে আমেরিকার সমস্ত ফেডারেল সরকারী ডিভাইসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই চীনা অ্যাপটিকে । শুধুমাত্র নিরাপত্তা গবেষণার উদ্দেশ্যে বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আইন প্রয়োগকারী এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অ্যাপটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
টিকটকে ডেটা গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে প্রশ্ন উঠছিল আমেরিকায় । গত মাসে সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোইম অ্যাপটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন । নিষেধাজ্ঞা জারির পর তিনি টুইটারে পোস্ট করেছিলেন,’আমাদের ঘৃণা করে এমন দেশগুলির জন্য বুদ্ধিমত্তা সংগ্রহে সাউথ ডাকোটার কোনও ভূমিকা থাকবে না ।’ শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন প্রশাসনও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । মার্কিন সরকারের এই নিষেধাজ্ঞায় প্রায় ৪০ লক্ষ সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের মোবাইল এবং তাদের সরকারিভাব্র দেওয়া অন্যান্য গ্যাজেট থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলতে হবে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের বিলের মধ্যে বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এই অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল ।
অ্যাপটি মুছে ফেলার আদেশটি হাউসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা (CAO) ক্যাথরিন সজপিন্ডর দ্বারা জারি করা হয়েছিল । গত আগস্ট মাসে তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন “ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ” । একটি বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে,’আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে হাউস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটি সিএও অফিস অফ সাইবারসিকিউরিটিকে সমস্ত হাউস-পরিচালিত ডিভাইস থেকে টিকটক সোশ্যাল মিডিয়া পরিষেবা অপসারণ শুরু করার অনুমতি দিয়েছে ।’
আগস্টে সিএও একটি “সাইবার অ্যাডভাইজরি” জারি করে টিকটককে একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ হিসেবে লেবেল করে জানিয়েছিল ‘যেভাবে এটি গ্রাহকের ডেটা রক্ষা করে তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে’ । অন্যদিকে টিকটকের মুখপাত্র ব্রুক ওবারওয়াটার বলেছেন,’আমরা হতাশ যে আমেরিকায় সরকারী ডিভাইসের জন্য টিকটিক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে এগিয়ে নিতে কিছুই সাহায্য করবে না ।’।