দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ ডিসেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড গুলির মধ্যে অন্যতম কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড । বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ,নদীয়া ও বীরভূম জেলার সংযোগস্থল ওই বাসস্ট্যান্ডটি । এই বাসস্ট্যান্ড থেকে বেড়িয়ে গেছে বর্ধমান,বীরভূম ও মূর্শিদাবাদ জেলায় যাওয়ার পৃথক দুটি সড়কপথ । এতদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওই সড়কপথগুলির ধারে ফুটপাত ও রাস্তা অবরুদ্ধ করে বেশ কিছু দোকানপাট চলছিল । শনিবার পুলিশবাহিনীকে সঙ্গে করে নিয়ে ওই সমস্ত দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল কাটোয়া পুরসভা । তবে তার আগে ব্যবসায়ীদের নোটিশ করা হয়েছিল এবং প্রায় ৫০ টি গুমটি আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা ।
জানা গেছে,কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বর্ধমান, বীরভূম বা মূর্শিদাবাদ যাওয়ার দুইটি পৃথক সড়কপথ রয়েছে । অন্য একটি সড়কপথ চলে গেছে কাটোয়া শহরের দিকে । বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ওই সড়কপথগুলির পাশে ফুটপাতে গুমটি বসিয়ে ও চালাঘর তৈরি করে দীর্ঘ দিন ধরে দোকানপাট চালাচ্ছিলেন কিছু মানুষ । এদিকে ফুটপাতের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় পথচলতি মানুষকে যেমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছিল,পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ডের সংলগ্ন এলাকায় যানজট আকছার লেগেই থাকতো । সম্প্রতি ওই দোকানপাটগুলি সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে কাটোয়া পুরসভা । এনিয়ে পুরসভার উদ্যোগে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয় । আলোচনার পর ওই সমস্ত দোকানপাট তুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে ।
পুরসভা সুত্রে জানা গেছে, দোকান সরানোর জন্য গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের নোটিশ করা হয়েছিল । তাদের ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল । নোটিশ পাওয়ার পর কিছু ব্যবসায়ী তাঁদের গুমটি সরিয়ে নিয়ে যান । কিন্তু বেশকিছু গুমটি ও চালাঘর সরানো না হলে এদিন বুলডোজার চালিয়ে সেগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় । এদিকে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেছেন ওই সমস্ত ব্যবসায়ীরা । তাঁদের দাবি,তাঁদের ব্যবসা করার জন্য কাটোয়া শহর সংলগ্ন কোনো বিকল্প জায়গায় বসার অনুমতি দিক পুরসভা ।।