এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুরুগ্রাম,২৪ ডিসেম্বর : ফের সার্বজনীন স্থলে জুমার নামাজের আয়োজন করা হয়েছিল হরিয়ানার গুরুগ্রামে । যদিও শুক্রবার গুরুগ্রামের সেক্টর-৬৯ এলাকায় ত্রিপল বিছিয়ে নামাজ পড়ার আয়োজন করা হলে রুখে দেয় হিন্দু সংগঠনগুলো । শেষে বজরং দলের কর্মীরা জুমার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় । যদিও তখন ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল ।
ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ধরমবীর শর্মা না নামে এই ইউজার্স ভিডিওটি পোস্ট করে টুইট করেছেন,’হরিয়ানার গুরুগ্রামে আবারও খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে । ৬৯ নম্বর সেক্টরে নামাজ পড়া লোকদের বজরংদল কর্মীরা তাড়িয়ে দিয়েছে… এর আগেও গুরুগ্রামে বিক্ষোভ হয়েছে ।’
ভিডিওতে বজরং দলের এক কর্মীকে বলতে শোনা গেছে,’আপনাকে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার অনুমতি কে দিয়েছে ?’ তখন আরেকজন কর্মী পেছন থেকে বলেন, ‘এই লোকগুলো বলছে, এখানে ১৫ বছর ধরে খোলা জায়গায় নামাজ পড়ছে, অথচ এই রাস্তাটাও ১৫ বছর আগে তৈরিই হয়নি ।’ অন্য এক বজরং দলের কর্মী মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন,এখানে ৩৫ টুকরো কাজ করবে না। এটা উদয়পুর নয়, এটা গুরগাঁও। এটা গুরগাঁওয়ের জমি । বাইরে থেকে লোক এনে নামাজ পড়তে আসছ । কোথায় পুলিশ প্রশাসন ?’ এরপর তাঁরা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন কেউ খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে পারবে না । তা সত্ত্বেও খোলা জায়গায় নামাজ পড়া অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ । হিন্দু সংগঠনের লোকজনদের অভিযোগ,বাইরে থেকে লোক এনে এখানে নামাজ পড়া হয় । পালওয়াল থেকে মৌলবী এখানে আসছেন নামাজ পড়তে। প্রতি শুক্রবার তারা এখানে এসে ল্যান্ড জিহাদ করে। তিনি আরও বলেন,’আমরা ১৫ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। কয়েকদিন পর তারা এখানে একটি সমাধি নির্মাণ করবে এবং বলবে এটি ২৫ বছর আগে নির্মিত। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে কেউ খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে পারবে না, তবুও এই লোকেরা সেটাই করছে ।’ এদিকে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে যাতে পরিস্থিতি আর উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।