এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৪ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে ক্রমশ ভিত মজবুত করে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া” । ইতিমধ্যে জিহাদের টানে দেশ জুড়ে বহু যুবক-যুবতী নাম লিখিয়েছে এই সংগঠনে । বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । এবারে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ সঙ্গে কট্টর মৌলবাদী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্রের প্রমান পাওয়া গেল । গ্রেফতার করা হল জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম নেতা আমির শফিকুর রহমান নামে এক বৃদ্ধকে । বাংলাদেশের পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মোহম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন,নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে শফিকুর রহমানের যোগসূত্রের প্রত্যক্ষ প্রমান পাওয়া গেছে । একই অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে শফিকুরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । সাইফুল্লাহ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করতো বলে তিনি জানান ।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনে মোহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন,’২০২১ সালের জুনে প্রথমবার সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জনের একটি দল দুর্গম পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন । কিন্তু সেই সময় কেএনএফ ও শারক্বীয়ার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার কারনে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয় । চট্টগ্রাম থেকে তাঁদের দুটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ও সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয় । বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাঁদের ফিরিয়ে আনে শফিকুর রহমান । যাঁরা হিজরত করেছিলেন, তাঁরা আগে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।’
তিনি আরও বলেন,’শফিকুরের ছেলে সাইফুল্লাহ জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার আগে ‘আনসার আল ইসলামে’ যোগ দিয়েছিলেন । আনসার আল ইসলামে থাকার সময় তাঁর মাধ্যমে সিলেট অঞ্চল থেকে অনেকে ওই সংগঠনে যোগ দেয় । পরে তাদের শারক্বীয়ার সাথে যুক্ত করা হয় । সিলেটে শফিকুরের বাড়িতে সাইফুল্লাহ সহযোগীদের নিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন ।’ তিনি জানান, শফিকুর বিষয়টি শুধু জানতেনই না,বরঞ্চ তিনি এই বিষয়ে সাইফুল্লাহকে সহযোগিতাও করেছেন । এমনকি হিজরতে যাওয়া সদস্যদের ব্যয়ভার শফিকুর নিজেই বহন করতেন ।।