প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ ডিসেম্বর : পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলায় শুধুই মিলছে বারুদের হদিশ প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোন না কোন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বোমা । এবার চার জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরষা গ্রামের ধানজমি থেকে। খবর পেয়ে শনিবার রাতেই গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাত ভোর ওই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে রাখে । খবর দেওয়া হয় সিআইডির বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াডে । রবিবার দুপুরে সিআইডির বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াডে বোমাগুলি নিষ্ক্রীয় করে ।জারিকেন ভর্তি বোমা কারা কি উদ্দেশ্যে ধান জমিতে নিয়ে গিয়ে রেখেছিল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,শনিবার বিকালে পুরষা গ্রামের মাঠে বকুল মল্লিক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দায় ধান কাটার মেশিন দিয়ে জমিটে ধান গাছ কাটার কাজ করছিলেন।ওই সনয়ে জমিতে পড়েথাকা চারটি জারিকেন তাঁর চোখে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন ।বকুল মল্লিক জানান, খবর পেয়েই গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যায় । ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে আসে ।তারই মধ্যে জমিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ আরো কয়েকটি জারিকেন সেখানে দেখতে পায় । জারিকেন গুলিতে বোমা ভরে রাখা আছে দেখে পুলিশ রাত থেকে জায়গাটি ঘিরে রাখে ।ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দা মহলেও আতঙ্ক ছড়ায় এদিন সিআইডির বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা এসে জারিকেনে থাকা বোমা গুলি নিস্কৃয় করলে সবার আতঙ্ক কাটে। পুরষা এলাকার অপর এক বাসিন্দা রবিউল সেখ বলেন,চলন্ত অবস্থায় ধান কাটার মেশিন বোমা ভর্তি জারের উপর দিয়ে চলে গেলো ভয়ংকর বিপদ ঘটে যেত।এইসব ঘটনা দেখে গ্রামের অনেকেই মাঠে যেটে ভয় পাচ্ছেন বলে রবিউল সেখ দাবি করেছেন।
এদিকে চাষের জমি থেকে জারিকেন ভর্তি বোমা
উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুর হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক
তরজা। জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র দাবী করেন,“ এসব শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ।গোটা রাজ্যটাকেই তৃণমূল বোম শিল্পের ভাণ্ডার পরিণত করেছে। । পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত বোম বারুদ উদ্ধার হয়েই চলছে। আসলে এসব করে তৃণমূলের লোকজন সাধারণ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখতে চাইছে ।’
যদিও বিরোধীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস দায়ী করেন, রাজ্যকে অশান্ত করার জন্যই বিরোধীরা বোম ।কোথাও কিছু নাই।অথচ ধানের জমিতে জারিকেন ভর্তি বোম উদ্ধার হচ্ছে। এরথেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের বদনাম করার জন্যই বিরোধীরা পরিকল্পনা করে এইসব ঘটনা ঘটাচ্ছে ।’।