প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ ডিসেম্বর : শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্ত্রীকে আসতে না দেওয়ায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেল আত্মহত্যা করতে উদ্যত হল স্বামী । শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বৈদ্যপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় । তবে অবস্য কোন অঘটন ঘটাতে পারেন নি জামাই মিঠুন মণ্ডল। ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক পুলিশ অনেক কসরত করে জামাই মিঠুন কে ধরে ফেলে কালনা থানার পুলিশের হাতে তুলেদেয়। মিঠুন অবশ্য তার বউকে ফেরৎতের দাবিতেই অনড় মনোভাব দেখিয়ে চলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী মিঠুন মণ্ডল কালনার মধুবন এলাকার বাসিন্দা। তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রী বাপের বাড়ি যাবার পর বাপের বাড়ির লোকজন তার স্ত্রীকে জোরজবস্তি আটকে রেখেছে । স্ত্রীকে তাঁর কাছে আসতে দিচ্ছে না । সেই তাঁর সন্তানরাও সমস্যায়
মধ্যে আছে ।মিঠুন বলেন, স্ত্রীকে আনতে সম্প্রতি তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন।তবুও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর স্ত্রীকে আসতে দেয়নি । এর একটা বিহিত করার জন্য তিনি কালনার বিধায়ক,কালনা থানা,এলাকার কউন্সিলার সহ বিভিণ্ন জনের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কেউ কিছু করে না। সবাই মুখ ঘুরিয়ে নেয় । তাই নিরুপায় হয়ে এদিন কালনার ব্যস্ততম রাস্তা বৈদ্যপুর মোড়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়ে মরার চেষ্টা করেছিল বলে স্বামী মিঠুন মণ্ডল জানিয়েছেন।
তাই বলে হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে যাবার কি কারণ ছিল? এর উত্তরে মিঠুন বলেন ,বহু দুর্দিন থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিটা করেছেন। তৃণমূল তাঁর নিজের পার্টি । প্রতিবাদ করতে হলে আমাকে আমার পাটির ঝান্ডা হাতে নিয়েই করতে হবে । তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়েই বৈদ্যপুর মোড়ে গিয়েছিলেন বলে মিঠুন মণ্ডল
জানিয়েছেন। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে
মিঠুনের স্ত্রীকে কেন তার বাপের বাড়ির লোকজন
মিঠুনের কাছে পাঠাতে চাইছেনা সেই ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে ।।