এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১০ ডিসেম্বর : হিমাচল প্রদেশের পর এবার কর্নাটক জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জাতীয় কংগ্রেস । কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কংগ্রেসের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে । ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস এবারে সর্বসাকুল্যে ৫৫ থেকে ৬০ টি আসন জিততে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে । যেখানে বিজেপি ৭০ থেকে ৭৫ টি,জেডিএস ১৫ থেকে ২০ টি আসন জিততে পারে । বাকি ৭৫ থেকে ৮০ টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে । তবে এই মুহুর্তে কংগ্রেসের পক্ষে নুন্যতম ১১৩ টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল । কংগ্রেসও স্বীকার করেছে যে তাদের প্রায় ১৫ টি আসনে নিম্ন মানের প্রার্থী রয়েছে । যেকারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা তাদের পক্ষে কঠিন কাজ হবে ।
অতীতে অন্যান্য দলের অযোগ্যতার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কংগ্রেসকে । ১৯৮৯ সালে যখন জনতা পার্টির রামকৃষ্ণ হেগড়ে এবং দেবগৌড়ার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল তখন বীরেন্দ্র পাটিলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ১৮০ টি আসন জিতেছিল । দ্বিতীয়বার,১৯৯৯ সালে জনতা পার্টির দেবগৌড়া এবং জেএইচ প্যাটেলের খেয়োখেয়ির সুবিধা পেয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস । তখন ১৩২ টি আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছিল তারা । এর পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা যখন বিজেপি ছেড়ে কেজেপি গঠন করেছিলেন তখনও কংগ্রেস ১২০ টি আসন পেয়েছিল । পরে জনার্ধন রেড্ডি এবং বি শ্রীরামুলু বিএসআর পার্টির গঠন করেন ।
আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপক্ষ দলগুলির মধ্যে সে অর্থে খেয়োখেয়ি নেই । তাই এবারে অন্তত তার সুবিধা তারা পাবে না বলে মনে করা হচ্ছে । এদিকে আঞ্চলিক ছোট ছোট দলগুলিকে নিয়ে বিজেপির সরকার গঠন করার প্রবল সম্ভাবনা আছে । এসসি, এসটি এবং ওবিসি নেতাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য বর্তমান শাসক দলকে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে । যদিও কর্নাটকে বর্তমানে সরকার বিরোধী হাওয়া রয়েছে । উঠছে দুর্নীতিরও অভিযোগ । এছাড়া গুজরাটের মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়েরও বিরুপ প্রভাব রয়েছে এরাজ্যে । এখন বিজেপি যদি জনমানসের এই সমস্ত নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারে তাহলে পরের বারে তাদের সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে ।।