এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,০৭ ডিসেম্বর : শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই বিহারের ভাগলপুরে এক মুসলিম ব্যক্তির হাতে নৃশংসভাবে খুন হলেন এক হিন্দু গৃহবধূ । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম নীলম যাদব । শনিবার স্বামীর সঙ্গে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল মিয়া তাঁদের পথ আটকায় । তারপর সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ওই বধুকে খুন করে বলে অভিযোগ । মৃতার স্বামী বলেছেন, ‘প্রতিদিনের মত শনিবারেও আমরা দু’জন বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম । প্রতিদিন আমরা অটোয় চড়ে বাড়ি ফিরি । কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে ওই দিন আমরা কোনো অটো পাইনি । তাই পায়ে হেঁটেই আসছিলাম । সড়ক পথের পাশেই শাকিল মিয়ার বাড়ি । আমরা তার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় শাকিল । তারপর সে আমার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে । প্রথমে আমার স্ত্রীর পিঠে অস্ত্রের কোপ বসায় । তারপর মাথায় কোপায় । তখন আমার স্ত্রী রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় । এরপর সে আমার স্ত্রীর দু’হাত কেটে দেয় । দুই চোখের নিচে অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয় । স্ত্রীর দুই স্তন কেটে ফেলে ।’
জানা গেছে,ভাগলপুরের সিন্ধিয়া ব্রিজের কাছে ওই গৃহবধুর উপর হামলার পর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়
তারপর জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় ।
এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাকিল মিয়া এবং তার সহযোগী জুদ্দীন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনাটি কোনো সাম্প্রদায়িক বিষয় নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ । পুলিশের দাবি,মেয়ের বিয়ের জন্য শাকিল মিয়ার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন নীলম। তিনি তা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারনেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে । যদিও ভিন্ন দাবি করেছেন মৃতার স্বামী । তাঁর অভিযোগ, ‘শাকিল মিয়ার সাথে আমাদের কোনো শত্রুতা ছিল না । শুধু তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছিলাম । আর সেই অপরাধেই সে আমার স্ত্রীকে নৃসংশভাবে খুন করেছে ।’ এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় টহল দিচ্ছে পুলিশবাহিনী ।।