এইদিন ওয়েবডেস্ক,পিয়ংইয়ং,০৬ ডিসেম্বর : উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের বর্বরতা ফের একবার প্রকাশ্যে এল । কিমের নির্দেশে প্রকাশ্যে গুলি করে মৃত্যুদন্ডের সাজা দেওয়া হল দুই স্কুল ছাত্রকে । ওই দুই ছাত্রের বয়স ১৫-১৬ বছর । দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা দেখাইবছিল তাদের অপরাধ । আর সেই অপরাধে কিমের নির্দেশে পিয়ংইয়ং-এর হেসান নগরীতে প্রকাশ্যে জনতার সামনে তাদের গুলি করে ঝাঁঝড়া করে দেয় উত্তর কোরিয়ার পুলিশ ।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার এনিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় । তাতে বলা হয়েছে সম্প্রতি ওই দুই ছাত্র চীনা সীমান্তের কাছে ইয়াং রং প্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিল । সেখানে গিয়ে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা এবং একটি আমেরিকান নাটক দেখে । ফিরে এসে তারা এনিয়ে বন্ধুবান্ধবের কাছে গল্প করে । বিষয়টি একনায়ক কিমের কানে যেতেই তিনি দুই ছাত্রকে সর্বসমক্ষে গুলি করে মৃত্যুদন্ডের সাজা শোনান ।
প্রসঙ্গত,দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সঙ্গে সাপে নেউলে সম্পর্ক কিম জং উনের । বর্তমানে দুই দেশের সঙ্গে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । আর এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ও আমেরিকার নাটক দেখে কিমের রোষানলে পড়ে যায় ওই দুই পড়ুয়া । শুধু ওই দুই পড়ুয়াই নয়,গত বছর কিমের রোষানলে পড়েছিল উত্তর কোরিয়ার বেশ কিছু মানুষ । আসলে ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন সুপ্রিম লিডার কিমের বাবা কিম জং-ইল-এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী পালন হয় । তার আগে একনায়ক কিম নির্দেশ দিয়েছিলেন,তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর কারনে ১০ দিনের জন্য দেশবাসী হাসতে পারবে না,মদ্যপান করতে পারবে না, বিনোদনমূলক কার্যকলাপ বন্ধ রাখতে হবে,এমনকি ওই সময়কালে কোনও জন্মদিন পালন বা শেষকৃত্য পর্যন্ত করা যাবে না । কিন্তু কয়েকজন মানুষ কিমের ওই সমস্ত তুঘলকি ফরমানের কোনো একটি লঙ্ঘন করে ফেলে । আর সেই অপরাধে তাদের মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার সাজা দিয়েছিলেন কিম জং উন ।।