এইদিন ওয়েবডেস্ক,জুনাগড়(গুজরাট),০৩ ডিসেম্বর : প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিল স্ত্রী । কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বামী । তাই পথের কাঁটাকে সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে প্রাণে মারার পরিকল্পনা করেন ওই মহিলা । তারপর একদিন স্বামী যখন বাড়িতে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে মদ্যপান করছিল সেই সময় মদের সঙ্গে গোপনে সায়ানাইড মিশিয়ে দেয় স্ত্রী । সেই মদ্যপান করে সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর তো মৃত্যু হয়ই,পাশাপাশি সেই বিষাক্ত মদপান করে বেঘোরে প্রাণ যায় স্বামীর বন্ধুরও । গুজরাটের জুনাগড়ে মদ্যপানে জোড়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য সামনে এসেছে পুলিশের সামনে ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,নিহতদের নাম রফিক ও ভরত । চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর জুনাগড়ের গান্ধী চকে মদ্যপান করার সময় দুই বন্ধুর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় । প্রথমে মৃত্যুর কারন নিয়ে পুলিশ ধন্দ্বে পড়ে যায় । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল বিষাক্ত মদ্যপান করেই ওই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব পরিষ্কার হয়ে যায় পুলিশের কাছে । রিপোর্টে পুলিশ জানতে পারে বিষাক্ত মদ নয়,বরঞ্চ মদে মেশানো হয়েছিল সায়ানাইড ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,পুলিশের প্রথমেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে রফিক ঘোঘরীর স্ত্রী মেমুদার উপর । আর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চমকপ্রদ তথ্য পায় পুলিশ । জেরায় মেমুদার দেওয়া বিবরণের ভিত্তিতে পুলিশ আসিফ রাজাক নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে । পুলিশ তাকে চেপে ধরতেই আসিফ কবুল করে মেমুদার সাথে তার পরকীয়া সম্পর্কের কথা । আসিফ পুলিশকে জানায়,সে মেমুদাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল । কিন্তু তার প্রেমিকার স্বামী বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল । তখন তারা দু’জন মিলে রফিক ঘোঘরীকে খুন করার পরিকল্পনা করে । কিন্তু তারা রফিকের বন্ধু ভরতকে মারতে চায়নি বলে জানিয়েছে আসিফ । বরঞ্চ মদের নেশায় ভরত তার বন্ধু রফিকের বোতল থেকে মদ পান করে ফেলে যে কারনে তারও মৃত্যু হয় । রফিক ও ভরত হত্যা মামলায় মেমুদা, আসিফ ও তাদের বন্ধু ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।।