এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ ডিসেম্বর : পরপর দু’দিন দুই পৃথক দূর্ঘটনায় রাজ্যের দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয় । বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার গোডাউনে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁশকুড়ার হাউর অঞ্চলের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার গোকুল মান্না । এরপর এদিন উলুবেড়িয়ায় পথ দুর্ঘটনায় আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের দূর্ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারের বেতন ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন,’থানার যত অপকর্ম,দুষ্কর্ম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে করানো হয় ।’
শুভেন্দু লিখেছেন,’বৃহস্পতিবার(১ ডিসেম্বর, ২০২২) তারিখে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার গোডাউনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। গোডাউনে রাখা বাজেয়াপ্ত বাজি থেকেই সম্ভবত আগুন ধরেই এমন অঘটন। আগুনের দাপট এতটাই তীব্র ছিল যে প্রথম দিকে নাকি ধারে কাছেই ঘেঁসতে পারেনি কেউ। ওই অগ্নিকান্ডেই সিভিক ভলেন্টিয়ার গোকুল মান্নার মৃত্যু হয়েছে আগুন নেভাতে গিয়ে, এই রকম তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রয়াত সিভিক ভলেন্টিয়ার গোকুল মান্না পাঁশকুড়ার হাউর অঞ্চলের বাসিন্দা।’
শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পোস্ট
এরপর তিনি লিখেছেন, ২ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে উলুবেড়িয়ায় পথ দুর্ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যু। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু সিভিক ভলেন্টিয়ারের। মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম মিঠুন রায়। উলুবেড়িয়া ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। জাতীয় সড়কে ডিউটি করার সময় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের। জাতীয় সড়কে ওঠার ‘নো এন্ট্রি’ থাকার সময় পার্কিং থেকে ঘাতক লরিটি বেরিয়ে এসে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মারে । মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বর এলাকায় । নিহত দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি ও তাদের পরিবারবর্গ, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের প্রতি সমবেদনা নিবেদন করি। ওনাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।’
শেষে তিনি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,’মাত্র ৯ হাজার টাকা বেতনে, প্রতিদিনের গড় ধরলে যা একজন দিন মজুরের দৈনিক আয় থেকে কম; কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বিমার সংস্থান না করে এই যে সারা রাজ্য জুড়ে বেকার যুবকদের নিয়োগ করা হয়েছে এবং বিনা প্রশিক্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে, সেই ডিউটি করতে গিয়ে অপঘাতে মৃত্যু হলে তার দায় কার ?’
তাঁর অভিযোগ,’থানার যত অপকর্ম ও দুষ্কর্ম এঁদের দিয়ে করানো হয়। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এরা করেন। কিন্তু এদের নিজেদের ভবিষ্যতের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ভবিষ্যত তো দূর, এই বেতনে ও কাজের স্থায়িত্ব না থাকায় এদের বর্তমানও ধুঁকছে ।।