এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০২ ডিসেম্বর : লাভ জিহাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ রুখতে এবার ‘বিউগল’ বাজিয়ে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) । দেশ জুড়ে লাভ জিহাদের ৪০০ টিরও বেশি মামলার তালিকা প্রকাশ করে মুসলিম কট্টরপন্থীদের ‘জুবান আর জওয়ান”-এর উপর নিয়ন্ত্রণে রাখার হুঁশিয়ারি দিল হিন্দুত্ববাদী এই সংগঠনটি । পাশাপাশি তাঁরা ঘোষণা করেছে লাভ জিহাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ রুখতে দেশের প্রতিটি ব্লকে “শৌর্য যাত্রা” করবে বজরং দল । পাশাপাশি ‘ধর্ম রক্ষা অভিযান’ চালাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন
জানিয়েছেন,’জিহাদের বিভিন্ন রূপের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য, নিষ্ঠুর এবং অমানবিক হল “লাভ জিহাদ” ।’ তিনি লাভ জিহাদের ৪০০ টিরও বেশি ঘটনার তালিকা প্রকাশ করে বলেছেন,’লাভ জিহাদ এবং অবৈধ ধর্মান্তকরণ সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এগুলি হুমকি স্বরূপ । এগুলোর প্রতিরোধ করতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় আইন প্রনয়নের প্রয়োজন ।’
তিনি বলেছেন,২০১০ সালে কেরালা হাইকোর্ট লাভ জিহাদকে ধর্ম পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপ হিসাবে বর্ণনা করেছিল। এটাকে কিছু বিকৃত মানসিকতার জিহাদি যুবকদের নিষ্ঠুরতা বলে এড়ানো যাবে না। এর পেছনে রয়েছে মোল্লা-মৌলবী ও মৌলবাদী মুসলিম নেতাদের অনুপ্রেরণা এবং টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের সুরক্ষা । কেরালার হাদিয়ার ক্ষেত্রে, এটা স্পষ্ট যে পিএফআই-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কোটি কোটি টাকা ফি দিয়ে জিহাদিদের পক্ষে বিশিষ্ট আইনজীবীদের দাঁড় করায় । এ জন্য তারা বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পায় ।’
ডঃ সুরেন্দ্র জৈনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়েছে,’আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসাজসের কারনে অবৈধ ধর্মান্তরকরণ ও লাভ জিহাদকে শুধু কিছু রাজ্যে আইন করে থামানো যাবে না । এজন্য দেশব্যাপী একটি রেজুলেশন প্রয়োজন, যা একটি শক্তিশালী জাতীয় আইনের মাধ্যমেই প্রকাশ পাবে ।’ তিনি বলেন,’শ্রদ্ধা মামলায় এর নিকৃষ্ট রূপ সামনে এসেছে । কেরালা এবং কর্ণাটকের চার্চ ১০,০০০ খ্রিস্টান মেয়েকে প্রেম জিহাদের শিকার হিসাবে বর্ণনা করেছে । অন্যদিকে হায়দ্রাবাদে ২,০০০ মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, যার বিষয়ে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইছে ।’
ডঃ জৈন বলেছেন,’হিমাচল, লাদাখের মতো শান্তিপ্রিয় রাজ্যগুলিতেও লাভ জিহাদ দ্বারা বিপর্যস্ত । একারনে সেখানে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে । কেরালার চার্চগুলিও অভিযোগ করেছে যে তাদের মেয়েদের ফাঁদে ফেলে সিরিয়া ও আফগানিস্তানে পাঠানো হচ্ছে। এমতাবস্থায় এই মানসিকতা প্রশমনে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।’
তিনি বলেন,’সম্প্রতি ‘সর তন সে জুদা’ গ্যাং বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল । তারপর বজরং দলের জারি করা হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ১৩,০০০ টিরও বেশি কল এসেছে ।’ পাশাপাশি তিনি ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে বিউগল ফুঁকিয়ে দেশব্যাপী জন সচেতনতামূলক প্রচারের কথা ঘোষণা করে জানিয়েছেন,বজরং দল ১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি ব্লকে শৌর্য যাত্রা করবে । ২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘ধর্ম রক্ষা অভিযান’ চালাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ । দুর্গাবাহিনীর মাধ্যমে মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে এই ব্যাধি নির্মূল করার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা হবে ।
পাশাপাশি ডক্টর সুরেন্দ্র জৈন মোল্লা মৌলভি এবং মৌলবাদী মুসলিম নেতাদের তাদের ‘জবান ও জওয়ান’কে নিয়ন্ত্রণে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । তিনি বলেছেন,’মুসলিম সমাজের উন্নয়নে হিন্দুদের চেয়ে তাদের বেশি অধিকার রয়েছে । কিন্তু প্রতিটি ইস্যুতে মুসলিম সমাজকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে উন্নয়নের নয়, ধ্বংসের আত্মঘাতী পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ।’।