এইদিন ওয়েবডেস্ক,পুনে,৩০ নভেম্বর : ফের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে মুখ খুললেন ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (আইএফএফআই) জুরি প্রধান তথা ইসরায়েলি চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদাভ ল্যাপিড । তাঁর কথায়,’দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ সরকারের নীতিগুলিকে যেভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং সবকিছু একতরফা দেখানো হয়েছে তাতে তিনি অবাক হয়েছেন ।’ ইতিপূর্বে এই ছবিটিকে ‘অশ্লীল’ এবং ‘প্রচারণামূলক’ বলে অভিহিত করেছিলেন ল্যাপিড । এজন্য তাঁকে ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলনের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল । তিনি ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা করার পর মত প্রকাশের পরামর্শ দিয়েছিলেন নিজের দেশের চলচিত্র পরিচালককে । পাশাপাশি ল্যাপিডের বক্তব্যের তীব্র ভাষায় নিন্দা জানান ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ।
এরপর নীরবতা ভেঙে নাদাভ ল্যাপিড ফের বলেছেন,’ছবিটি মূলত কাশ্মীরে ভারত সরকারের নীতিকে সমর্থন করে এবং এতে অনেক ফ্যাসিবাদী উপাদান রয়েছে। ল্যাপিড জানান, আগামী বছর ইসরায়েলে দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর মতো একটি চলচ্চিত্র তৈরি হলে তিনি অবাক হবেন না। নাদভের কথায়,এই জাতীয় দেশে, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে, আপনি খোলাখুলিভাবে আপনার মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না, সেখানে কথা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমি এই ফিল্মটি দেখেছিলাম, আমি এটিকে ইসরায়েলের সাথে তুলনা করেছি, কিন্তু এটিতে তা কোনওভাবে বিদ্যমান নেই।’
ল্যাপিড বলেন,’আমি জানতাম এই ছবির বিরুদ্ধে কথা বলা সহজ নয়। তাও এমন একটি অনুষ্ঠানের প্লাটফর্ম থেকে, যেখানে সরকারের প্রশংসা হচ্ছে সর্বত্র। আপনি যখন অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছেন তখন এটি আপনার পক্ষে সহজ নয় ।’ পাশাপাশি ল্যাপিড দাবি করেছেন যে আইএফএফআই-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যের পরে, অনেক মানুষ তাঁর কাছে এসে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন । কিন্তু তাঁদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি ।
অন্যদিকে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ডিরেক্টর বিবেক অগ্নিহোত্রী ল্যাপিডের বক্তব্যকে ‘টুলকিট গ্যাং’-এর কৌশল বলে অভিহিত করেছেন । তিনি বলেছেন ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল । পাশাপাশি তিনি ল্যাপিডকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি যদি ছবির একটি দৃশ্যও মিথ্যা বলে প্রমাণ করেতে পারেন তাহলে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করে দেবেন । ল্যাপিডের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন,‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে যে সত্য দেখানো হয়েছে, তা গবেষণার পর দেখানো হয়েছে। ভারতের সেন্সর বোর্ড এটি অনুমোদন করেছে। সিনেমাটি সম্পর্কে এ জাতীয় মন্তব্য করার অধিকার কারোর নেই ।’।