প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ নভেম্বর : স্পেশাল স্টাক ফোর্সের (STF) অভিযানে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ও মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে ধরা পড়লো আগ্নেয়াস্ত্রের দুই চোরা কারবারী । ধৃতদের নাম কুরবান আলি ও রাকেশ মোল্লা। তাদের কাছ থেকে এসটিএফ একটি এসএসবিএল বন্দুক (SBBL GUN) উদ্ধার করেছে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার দুই ধৃতকেই শনিবার পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে । এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় বানানো হয়েছিল ও আগ্নেয়াস্ত্রের চোরা কারবার চক্রের আর কারা জড়িত আছে তা জানতে পুলিশ ধৃত দু’জনকেই নিজেদের হেপাজতে নেবার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে ।
এসটিএফ (STF) সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত কুরবান আলির বাড়ি মন্তেশ্বরের ভাণ্ডারবাটি এলাকায়। অপর ধৃত রাকেশ মোল্লা মুর্মিদাবাদের ডোমকল (Domkal) সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। কুরবানের কাছ থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার জন্য শুক্রবার রাতে ডোমকল থেকে কুসুমগ্রাম-নাদনঘাট রোডে কাছে পৌছেছিল রাকেশ। তারপর সেখান থেকে তারা দু’জনে বাইকে চড়ে গোপন ডেরায় যাচ্ছিল। এই খবর গোপন সূত্রে পৌছে যায় এসটিএফের গোয়েন্দারা কাছে । দ্রুত তারা অভিযানে নেমে পড়ে দুই আগ্নেয়াস্ত্রের চোরা কারবারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। কুরবানের কাছ থেকে উদ্ধার একটি বন্দুক (SBBL GUN)। মন্তেশ্বর থানায় কুরবান ও রাকেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ ও এসটিএফ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন,কুরবান আলি কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করত। তার আড়ালেই সে আগ্নেয়াস্ত্রের চোরা কারবারে চালানো শুরু করে।আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে শুক্রবার রাতে সে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। কুরবানের এই কীর্তির কথা জেনে স্তম্ভিত মন্তেশ্বরের বাসিন্দারা। তাঁরা ভাবতেই পারছেন যে নিপাট ভদ্রলোক সেজে থাকা কুরবান আলি আসলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চোরা কারবারীর কাজ করে ।।