শ্যামসুন্দর ঘোষ,পূর্বস্থলী(পূর্ব বর্ধমান),১৬ নভেম্বর : রাত পোহালেই কার্তিক পূজো । হাতে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় । ফলে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর পূজো মণ্ডপগুলি থেকে কুমোরপাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে । চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি । এদিকে বুধবার পূর্বস্থলী রেলস্টেশনে তিল ধারনের জায়গা ছিল না । কার্তিক পূজো দেখতে দূরদুরান্ত থেকে আগত লোকজনদের পূর্বস্থলীর আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে ভিড় জমাতে দেখা গেল ।
পূর্বস্থলীর কুমোরপাড়ার মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, এবারে কেউ ১২ টি পুজোর কমিটির প্রতিমা গড়ার বরাত পেয়েছেন, তো কোন মৃতশিল্পী বরাত পেয়েছন ১০টি প্রতিমা গড়ার । প্রতিমাগুলির রঙের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে । স্থানীয় মৃৎশিল্পি সুকান্ত স্থানদার বলেন,এবারে আমি ৭ টি পুজো কমিটির কাজ পেয়েছি । রঙের কাজ শেষ । আজ রাতের মধ্যে প্রতিমার সাজের কাজ শেষ করে মণ্ডপগুলিতে পৌঁছে দিতে হবে । তাই দম ফেলার ফুরসৎ নেই ।’ তবে করোনা মহামারির পর থেকে সেভাবে কাজের চাপ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি ।
পূর্বস্থলীতে এবারে পারিবারিক ও বারোয়ারি মিলে শতাধিক পূজো হচ্ছে । তার মধ্যে বেশ কিছু সার্বজনীন পূজো কমিটি থিমের পূজো করছেন । উলেখযোগ্য পূজোগুলি হল,বৈদিকপাড়ার কৃষ্ণকালী, পুরাতন বাজারের জোড়াবাঘ বিন্দুবাসেনী, অকালবোধন, কৈবত্যপাড়া ধাড়াপাড়া চৌরঙ্গীর মহিষমর্দিনী,পলাশপুলির রামরাবনের লড়াই, গোসাইপাড়ার শিবপার্বতী, চুপি বাগানেপাড়ার গঙ্গামাতা, নাথপাড়ার কৈলাশখন্ড, আদি রেলবাজারের শিবপার্বতী, সন্তোসী মাতা, কাষ্ঠশালীর চেন কার্তিক, বোমকার্তিক, মুক্তকেশী, ধাড়াপাড়ার ন্যাংটো কার্তিকপুজো প্রমুখ ।
পূর্বস্থলীর সংস্কৃতি সংঘের পূজো এবারে ৫৫ বছরে পড়ল । এবারে তাদের থিম পরির দেশ । মণ্ডপের
সামনে একটা পাহাড়ের আকৃতি গড়া হয়েছে ।গুহার আদলে গড়া হয়েছে মণ্ডপের ভিতরটি । সেখানে মূল দেবদেবীর মূর্তির পাশাপাশি সাজানো হয়েছে একাধিক পরির মূর্তি দিয়ে । বিশ্ব শান্তির বার্তা দিতে গোটা মণ্ডপটি সাদা কাপড় দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে । ক্লাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারে তাদের বাজেট আড়াই লক্ষ টাকা ।
পূর্বস্থলীর কার্তিক পুজোর পরদিন হয় কার্তিক লড়াই। তবে এবারে দুদিন নয়, মোট তিনদিন ধরে আনন্দে মাতবেন পূর্বস্থলীবাসী ।।