এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৪ নভেম্বর : বাংলাদেশের খুলনার সাতক্ষীরা বাসিন্দা কবিতা রানী নামে এক তরুনীর সঙ্গে ৩ বছর ধরে লিভ টুগেদার করার পর প্রেমিক আবু বক্করের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল তাঁকে । কবিতা বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিক তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারার পর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল । একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল মুম্বাইয়ে । প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিল । আর তাঁর সেই অপরাধে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহের ৩৫ টুকরো করে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব । অবশেষে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্ততে গ্রেফতার হয়েছে ঘাতক প্রেমিককে । শনিবার (১২ নভেম্বর ২০২২) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,মহারাষ্ট্রের পালঘরে বাড়ি শ্রদ্ধার । মুম্বাইয়ে একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন তিনি । একই কল সেন্টারে কাজ করত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা । সেই সুত্রে দু’জনের পরিচয় ও প্রেম । তারপর তারা দু’জনে মুম্বাইয়ে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকছিলেন । তার কিছুদিন পর থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা । কিন্তু আফতাব বিভিন্ন বাহানা করে এড়িয়ে যেতে থাকে ।
ধৃত আফতাব পুলিশের জেরায় জানিয়েছে, প্রেমিকার বিয়ের জন্য লাগাতার চাপ এড়িয়ে যেতে সে মুম্বাই ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসে । সেখানে শ্রদ্ধাকে সে আসতে বলে । কয়েকদিন একসঙ্গেই ছিল তারা । কিন্তু গত ১৮ মে বিয়ে নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে তার তুমুল ঝগড়া হয় । তারই মাঝে শ্রদ্ধাকে সে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে । তারপর লাশ হাপিস করে দেওয়ার উদ্দেশে প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে । হত্যার ১৮ দিন পর আফতাব রাত ২ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহের টুকরোগুলি দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়ে আসে । জানা যায়,এদিকে দীর্ঘ দিন মেয়ের খবর না পেয়ে গত ৮ নভেম্বর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেন ৫৯ বর্ষীয় শ্রদ্ধার বাবা মদন ওয়াকার । অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ আফতাবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে । শেষ পর্যন্ত প্রেমিকাকে খুনের কথা কবুল করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । ধৃতকে জেরা করে পুলিশ নিহতের কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে ।।