প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৩ নভেম্বর : চাকরির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হবার পাশাপাশি টেট (TET)উত্তির্ণরা জারি রেখেছেন আন্দোলন।আর তা নিয়েই বিদ্রুপ শোনা গেল রাজ্যের বিধায়ক তথা প্রগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল মাঝি। রবিবার বর্ধমানে অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মল মাঝি বলেন,’যাঁরা টেট নিয়ে আন্দোলন করছেন,তাঁরা কোর্টে না গিয়ে অভিষেকের কথা শুনে উঠে গেলে কবে সমস্যা মিটে যেত“।যদিও বিরোধী নেতৃত্বের বক্তব্য,নির্মল মাঝির বক্তব্যই স্পষ্ট করে দিচ্ছে,চাকরির দাবিতে টেট উত্তির্ণদের আন্দোলনের রাজ্য সরকার এখন সাঁড়াশি চাপের মধ্যে রয়েছে ।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য শাখার প্রীতি সম্মেলন ও কর্মীসভা এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয় ।সেখানে নিজের বক্তব্যে নির্মল মাঝি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের কাছে যেদিন অভিষেক গিয়েছিল সেদিন অভিষেকের কথা শুনে তারা উঠে গেলে কবে সব মিটে যেত।এমনকি দিদিও নিজে বলেছিলেন, এদের চাকরি দিয়ে দেবে। কিন্তু তারা তা শোনেনি। উল্টে তারা বামপন্থী আইনজীবীদের কথা শুনে কোর্টে চলে গেল। এখন কোর্ট যা করার করবে। দিদির উপর ছেড়ে দিলে কবে হয়ে যেত। এখন মমতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সিপিএম কথায় কথায় কেস দিচ্ছে আর বিজেপি পিছন থেকে ওদের টাকা সাপ্লাই দিচ্ছে বলে নির্মল মাঝি অভিযোগ করেন । তৃণমূলের বিধায়ক নির্মল মাঝি এও বলেন, এখন কত জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। ইট ছুঁড়ছে, পাথর ছুঁড়ছে, বোম ছুঁড়ছে, কিন্তু পুলিশ মার খেয়েও কোথাও কিছু করছে না। বামফ্রন্টের সময়ে পুলিশ গুলিও চালাত বলে নির্মল মাঝি এদিন মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির সহসভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন,’টেট উত্তির্ণদের আন্দোলন ও আদালতের নির্দেশ নামায় রাজ্য সরকার এখন যে সাঁড়াশি চাপের মধ্যে রয়েছে। এটা নির্মল মাঝির বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।’
আসন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েতে ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ়প্রত্যয়ী নির্মল মাঝি । তিনি এদিন দাবি করেন ,পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা শুণ্য হয়ে যাবে। রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে উজাড় করে ভোট দেবে । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় নির্মল মাঝি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস,শম্পা ধারা সহ তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মীরা ।।