প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১১ নভেম্বর : বাসযাত্রীর ব্যাগ থাকা ২৩ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল বাবা ও ছেলে। তবে অবশ্য বেশিদিন তারা গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেনি। টাকার চুরির অভিযোগের তদন্তে নেমে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ বুধবার রাতে কলকাতার মুদিয়ালি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ সাবির হোসেন ও মহম্মদ আতিক হোসেন। তাঁদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানার লিদিপাড়ায়।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বৃহস্পতিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । চুরি করে নেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিজেএম চন্দা হাসমত। ধৃতদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন । হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশ ধৃত বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো শুরু করেছে।পাশাপাশি ধৃতদের টি-আই প্যারেডে সামিল করানোর ব্যাপারেও পুলিশ ভাবনা চিন্তা করছে ।
পুলিশ জানিয়েছে,কয়েকদিন আগে বিহারের নবাদা জেলার গোবিন্দপুর থানার সোরহা গ্রাম নিবাসী প্রদীপকুমার যাদব বাড়ি থেকে কলকাতায় আসছিলেন।তাঁর দাদা রাজেশ কুমার যাদব প্রাক্তন সেনাকর্মী। দু’বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।তিনি কলকাতায় ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো ভাইয়ের হাত দিয়ে তিনি ফ্ল্যাট কেনার ২৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পাঠাচ্ছিলেন ।
পুরো টাকাটা একটি ব্যাগে করে নিয়ে আসছিলেন প্রদীপ কুমার। ঘটনার দিন অর্থাৎ ৫ নভেম্বর ভোররাতে বাসটি বর্ধমানে পৌঁছায়।সেখানে বাসের বেশকিছু যাত্রী নেমে যান। এরপর বাসটি ফের রওনা দেয় । পথে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে জামালপুর থানার জৌগ্রামে একটি হোটেলের সামনে বাসটি থামে। ওই সময়ে টাকার ব্যাগটি সিটে রেখে প্রদীপ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে হোটেলে যান।ঠিক ওই সময়ে বাসে প্রদীপের পাশের সিটে একজন এবং পিছনের সিটে দু’জন বসেছিলেন। তাঁরা অবশ্য বাসে বসেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পর প্রদীপ নিজের সিটে ফিরে এসে দেখেন তাঁর ব্যাগ খোলা। তাতে থাকা পুরো টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।ততক্ষনাৎ বিষয়টি তিনি বাসের কন্ডাক্টর ও অন্যান্যদের জানান। কিন্তু, টাকার আরকোন হদিশ মেলেনি। ততক্ষণ অবশ্য তাঁর পিছনের সিটে বসে থাকা এক সহযাত্রী উধাও হয়ে গিয়েছে।ওই সহযাত্রী টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাস থেকে নেমে পালিয়েছে ধরে নিয়ে প্রদীপ কুমার জামলপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ।।