আমি কিন্তু বরাবরই দেখতুম, ঠাকুর যেন গঙ্গার ওপার ঐ জায়গা-টিতে—যেখানে এখন মঠ, কলাবাগান-টাগান— তার মধ্যে ঘর, সেখানে বাস করছেন । ( তখন মঠ হয় নাই।) মঠের নতুন জমি কেনা হলে পর নরেন একদিন আমাকে নিয়ে জমির চতুঃসীমা ঘুরে ঘুরে দেখালে, বললে, ‘মা, তুমি আপনার জায়গায় আপন মনে হাঁপ ছেড়ে বেড়াও।’
বোধগয়ায় মঠ, তাদের সব জিনিসপত্র, কোন অর্থের অভাব নেই, কষ্ট নেই,—দেখে কাঁদতুম, আর ঠাকুরকে বলতুম, ‘ঠাকুর, আমার ছেলেরা থাকতে পায় না,খেতে পায় না, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের যদি অমন একটি থাকবার জায়গা হত!’
তা ঠাকুরের ইচ্ছায় মঠটি হল । একদিন নরেন এসে বললে, ‘মা, এই ১০৮ বিল্বপত্র ঠাকুরকে আহুতি দিয়ে এলাম, যাতে মঠের জমি হয়। তা কর্ম কখনও বিফলে যাবে না । ও হবেই একদিন।’
শ্রীশ্রীমায়ের কথা—২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪৮