দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১০ নভেম্বর : কৃষকদের আর্থিক সমস্যা সম্পর্কে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককে অবগত করাতে উদ্যোগী হল আরএসএসের কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান সংঘ । বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে একটি পথসভা করে সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা । পথসভা শেষে সংগঠনের প্রদেশের কোষাধ্যক্ষ পঙ্কজ কুমার বন্ধু, পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য সুজিত কাপাশীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি দাবিপত্র জেলাশাসকের দপ্তরে জমা দেয় ।
আরএসএসের দাবি,কোনো কৃষককে যেন সরকার ঘোষিত এমএসপি (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস)-এর কম দামে ধান বিক্রি করে বাধ্য না হতে হয় । ধান ক্রয় কেন্দ্র গুলি গ্রাম থেকে ১ কিমির মধ্যে হতে হবে । অনলাইনে মাধ্যমে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করার ব্যাবস্থা করতে হবে । ধানের গুণাগুণ বিচারের নামে কেজি পিছু অযথা ৬ থেকে ১০ টাকা বাদ দেওয়া চলবে না । ধানের টাটা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে । খরার কারনে যে সমস্ত কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন তাদের ফসল বিমার টাকা অবিলম্বে দেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে । যে সমস্ত কৃষক ফসল বীমা করতে পারেননি, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করতে হবে । রবি মরশুমের জন্য বিনামূল্যে সরিষা,তৈলবীজ ও সার দেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে । জৈবিক কৃষির জন্য পঞ্চায়েত স্তর থেকে প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করতে হবে এবং কৃষকরা যাতে নিজেরাই জৈবিক সার ও কীটনাশক উৎপাদন করতে পারে তার জন্য যন্ত্রপাতি ও বিনা সুদে ঋণের ব্যাবস্থা করতে হবে । এছাড়া জৈবিক ফসল বিক্রির ব্যবস্থা,পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ৭০০০ টাকা,ধানের সহায়কমূল্য কুইন্টাল পিছু ১৫০০ টাকা এবং বিনা সুদে কৃষকদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় ভারতীয় কিষান সংঘ ।
পঙ্কজ কুমার বন্ধু বলেন,’এদিন ব্যস্ততার কারনে জেলা শাসক ছিলেন না । তাই আমাদের দাবিপত্র অতিরিক্ত জেলাশাসক( শিক্ষা)-এর হাতে তুলে দিয়ে এসেছি । উনি আমাদের দাবীদাওয়া খুবই আগ্রহের সাথে শোনেন । কিছু সমস্যার কথা নোট করে রাখেন । পাশাপাশি আগামীদিনে ভারতীয় কিষান সংঘের যে কোন সমস্যা শোনার জন্য তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ।’।