জর্জ চৌধুরী,কালনা— ‘দেবদাস’ উপন্যাসের স্মৃতিবিজড়িত গ্রাম কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রামের দেবদাস স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে হয়ে গেল দুই দিবসীয় নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট।এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয় শান্তিপুর সিটি ক্লাব।শরৎচন্দ্রের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই খেলায় শরৎ মঞ্চে খেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রেজাউল ইসলাম মোল্লা (রানা)। টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স উভয় দলের হাতেই পুরস্কার তুলে দেন উদ্যোক্তারা।
পূর্ব বর্ধমানের হাতিপোতা গ্রামে আয়োজিত এই নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ষোলোটি দল।ফাইনালে ওঠে শান্তিপুর সিটি ক্লাব ও বিজারা সোহানা একাদশ।নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হলেও কোন দল গোল না করতে না পারায় ট্রাইবেকারের মধ্য দিয়ে খেলা শেষ হয়।হাড্ডাহাড্ডি এই লড়াইয়ে শান্তিপুর সিটি ক্লাব ৫-৪ গোলে সোহানা একাদশকে পরাজিত করে।
এই বিষয়ে দেবদাস স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি তোতা মোল্লা বলেন,‘ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হাতে যথাক্রমে ত্রিশ হাজার টাকা ও পঁচিশ হাজার টাকা ও দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট ও সেরা গোলদাতার হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।ম্যান অব দ্য সিরিজ হোন শান্তিপুর সিটি ক্লাবের গোলকিপার পিন্টু।ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হোন বিজারা সোহানা একাদশের শ্যাম।এইবারে অনেক বিদেশি খেলোয়াড়রাও বিভিন্ন দলের হয়ে খেলতে আসেন এইটা ছিলো আরো একটি আকর্ষণীয় বিষয়।’এই টুর্নামেন্টে প্রসঙ্গে সমাজসেবী রেজাউল ইসলাম মোল্লা(রানা) বলেন,‘শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘দেবদাস’ উপন্যাসের রসদ সংগ্রহ করেছিলেন এই হাতিপোতা গ্রাম থেকেই।শরৎচন্দ্রের দেবদাসের শেষ জীবনটা কেটেছিল এই গ্রামেই।এখানেই পার্বতীর শ্বশুরবাড়ি।এখান থেকেই শরৎচন্দ্র পেয়েছিলেন তার উপন্যাসের নায়ককে।সেই স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই জানুয়ারি মাসে আমরা দেবদাস স্মৃতি মেলারও আয়োজন করি।ঠিক তেমনি শরৎচন্দ্রের নামে মঞ্চ করে আমরা টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করি।আর এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে উন্মাদনাও থাকে বেশ তুঙ্গে।করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।সেই কারণে প্রতিবারের মতো এইবার ভারতীয় দলের বিখ্যাত ফুটবলারদেরকে আনা সম্ভব হয়নি।’