এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৮ নভেম্বর : সংরক্ষণের আওতায় মূলত এসটি, এসসি,ওবিসিকে রাখা হয়েছে । কিন্তু জেনারেল ভুক্ত এমন বহু মানুষ আছেন যারা আর্থিকভাবে দূর্বল হওয়া সত্ত্বেও সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত । অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল সেকশনের (EWS) মানুষদের জন্য এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট । ভর্তি ও সরকারি চাকরিতে তাদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান বহাল রেখেছে আদালত । সোমবার ১০৩ তম আইন সাংবিধানিক সংশোধনীর বৈধতার বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিদের ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সম্মত হয় । তবে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর দরিদ্ররা ইডব্লিউএস সংরক্ষণের আওতায় আসবে না। সুপ্রীম কোর্ট বলেছে এটি বৈষম্যমূলক নয় এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে না । সংরক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী,বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা । বিপক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র । বিরুদ্ধে মত প্রকাশকারী দুই বিচারপতি বলেছেন,সংশোধনীর আওতা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্রদের বাদ দেওয়া বৈষম্যকে দেখায় যা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ।
আদালতে চারটি পৃথক সিদ্ধান্ত পাঠ করা হয়
বিচারক আদালতে ৩৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে চারটি পৃথক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনানো হয় । বিচারপতি মহেশ্বরী তার সিদ্ধান্ত পড়ে শোনাতে গিয়ে বলেন, ১০৩ তম সংশোধনীকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর লঙ্ঘন বলা যাবে না। তিনি বলেছেন যে সংরক্ষণ হল ইতিবাচক কাজ করার একটি উপায় যাতে সমতাবাদী সমাজের লক্ষ্য সর্বজনীনভাবে অগ্রসর হতে পারে। এটি কোনো সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণী বা গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার একটি মাধ্যম।
বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পারদিওয়ালা তাদের একই মত প্রকাশ করে বলেছেন যে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভিত্তিতে ভর্তি এবং চাকরিতে সংরক্ষণ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে না। তাঁরা বলেন,১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীকে ইডব্লিউএস- এর কল্যাণে সংসদ কর্তৃক গৃহীত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে হবে। মন্ডল মামলার রায়ের অধীনে মোট সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না এই যুক্তিতেও তাঁরা একই অবস্থান নিয়েছিলেন। বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, এর কথিত লঙ্ঘন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে না ।।