এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৪ নভেম্বর : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই- ইনসাফ (পিটিআই) সভাপতি ইমরান খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর পাকিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়েছে । দেশ জুড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পিটিআই সমর্থকরা । সেনাবাহিনীকে দেখলেই তারা তেড়ে যাচ্ছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে পিটিআই সমর্থকদের রুদ্র রূপ দেখে পালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা । এমনকি সেনা ট্যাঙ্কেও ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে উত্তেজিত জনতাকে । ফলে পাকিস্তানে কার্যত গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ।
এরই মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সুপারিশে ইসলামাবাদে লকডাউন জারি করা হয়েছে । ইসলামাবাদের সীমান্তও সিল করে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো বিক্ষোভকারী রাজধানীতে পৌঁছাতে না পারে। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ।
এদিকে ওয়াজিরাবাদে অনুষ্ঠান মঞ্চে সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন,তিনি ইমরান খানের পাশেই ছিলেন । তখন ভিড়ের মধ্য থেকে তিন জায়গা থেকে গুলি চালানো হয় । দু’জনের হাতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র থাকেও অন্যজনের হাতে একে-৪৭ রাইফেল ছিল । তাদের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে ইমরান খান ছাড়াও ১২ জন আহত হয়েছে । একজন মারা যান ।
বৃহস্পতিবার ঘটনার দিনই ইমরান খানের তরফ থেকে তাঁর দলের নেতারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সমগ্র ঘটনাটি সুপরিকল্পিত । আর এর পিছনে আছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, রানা সানা উল্লাহ এবং আইএসআই-এর মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির ।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবারের হামলায় ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ এল বন্ধুও মারা গেছেন । আহত হয়েছেন অন্তত ১২-১৫ জন মানুষ। তার মধ্যে রয়েছে এক ১৩ বছরের কিশোর । ভারত ইমরানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ভারত বলেছে যে আমরা এই পুরো উন্নয়নের উপর নজর রাখছি ।।